প্রয়োজনীয় নানা জিনিসে ঠাসা ফ্রিজ। কী নেই তাতে! ঠান্ডা পানীয়, নানা রকম প্যাকেট ফুড থেকে শুরু করে টুকিটাকি প্রায় সব কিছুই। এরকম ফ্রিজ রাখা আছে জনবহুল রাস্তার ধারে বা বহুতল আবাসনের চত্বরে। কিন্তু নেই কোনও নজরদারি। সেলসম্যান, সিসিটিভি ক্যামেরা— কিচ্ছু না। আছে দরজা লাগোয়া ক্যাশবাক্স। ক্রেতাদের বিশ্বাসের উপর ছাড়া আছে সব কিছু। জিনিস নিয়ে দাম রেখে চলে যান ক্রেতারা।
অবাক হচ্ছেন?
এই আজব দোকান খুলেছে বেঙ্গালুরুতে। ভাবনা পি সি মুস্তাফার। তিনি নিজের সংস্থার জিনিস রাখেন এই ‘ট্রাস্ট শপ’-এ। শহরের একাধিক জায়গায় রেখেছেন নিজের এই ‘দোকান’কে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে বহুতল আবাসনের নীচে।
যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে বা বিদঘুটে শিফ্টে অফিস করেন, তাঁদের কাছে এই ট্রাস্ট শপ একেবারে যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ব্যাপার। যখন অন্য সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাঁরা সহজেই টাটকা জিনিস পেয়ে যান 24×7 ‘ট্রাস্ট শপ’ থেকে।
কিন্তু অসৎ ক্রেতা কি নেই? হ্যাঁ তাও আছে। তবে অন্তত ৯০% ক্রেতা দাম দিয়েই জিনিস নিয়ে যান। ফলে ক্যাশ মেশিন বা সেলসম্যান ছাড়া দিব্যি চলছে এই ট্রাস্ট শপ। শুধু পিগি ব্যাঙ্ক নিয়ে।
ক্রেতা-বিক্রেতার পরস্পর আস্থা আর বিশ্বাসই এখানে শেষ কথা। কথায় বলে না, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু...আর ব্যবসায় অগ্রগতি বহু দূর!
আরও পড়ুন—গগৈয়ের গদি হারানোর হাওয়া স্পষ্ট সমীক্ষায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy