কতটা গভীর। রাস্তার গর্তের চারপাশে উৎসুক মানুষের ভিড়। শুক্রবার শিলচরে। ছবি: স্বপন রায়।
রাস্তায় ‘পুকুর’ দেখতে অভ্যস্ত বরাক উপত্যকার মানুষ। আজ দেখলেন কুয়ো। তাতে আবার বিশাল জলস্রোত। প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তবে প্রয়োজন পড়েনি। ভাঙনেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তার জেরে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয় ইটখলা, মালুগ্রাম, ঘনিয়ালা এবং দুধপাতিল এলাকার জনতাকে।
ইটখলা ইদগার সামনে কালভার্ট রয়েছে রাস্তার উপর। শিলচর পুরসভার ১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জল এই কালভার্ট দিয়ে গিয়ে বরাক নদীতে মেশে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এটি। রাস্তা নির্মাণ করতে দফায় দফায় এর উপর পাথর, বিটুমিন পড়েছে বটে, কিন্তু কালভার্টের হালহকিকত দেখা হয়নি কখনও। আজ রাস্তাসুদ্ধ সেই কালভার্ট ভেঙে পড়ে।
কয়েক দিন ধরে ইটখলার রাস্তায় বিটুমিনের চিহ্নমাত্র নেই। গর্ত আর গর্ত। আজ সকালে আচমকা ধরা পড়ে কালভার্টের ভাঙন। দেখতে দেখতে তা বিশাল কুয়োর চেহারা নেয়। স্থানীয় জনতা পূর্ত বিভাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নতুনপট্টি মহিলা সমিতির সদস্যরা প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভাঙন এমন চেহারা নেয় যে, অবরোধের প্রয়োজন পড়েনি। এমনিতেই যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার, শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল পূর্তকর্তাদের দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় পুর সদস্য, বিজেপি নেতা বীজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ জানিয়েছেন, রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ায় বৃহত্তর মালুগ্রাম ও দুধপাতিলের মানুষ প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছেন। পূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা কাজ শুরু করতে চলেছেন। এক্সেভেটর লাগিয়ে প্রথমে পুরো কালভার্ট তুলে দেওয়া হবে। পরে বসানো হবে নতুন কালভার্ট। পূর্তকর্তারা প্রথমে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ ফেটে রাস্তার এই হাল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। পরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অফিসাররা গিয়ে তা খণ্ডন করেন। দিলীপবাবু অবশ্য বলে এসেছেন, ‘‘এখন দোষ দেখে লাভ নেই, কাজটা তাড়াতাড়ি শুরু হওয়া চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy