Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সনিয়ার নৈশভোজে একজোট বিরোধীরা

দশ জনপথে সনিয়া গাঁধীর নৈশভোজে রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ-সহ কুড়িটি বিরোধী দলের নেতা। আগে এই সংখ্যাটাই ছিল সতেরো। নরেন্দ্র মোদীর শরিক যখন খসছে, বাড়াচ্ছেন সনিয়া।

সনিয়া গাঁধীর নৈশভোজে উপস্থিত হচ্ছেন বিরোধীরা। ছবি: পিটিআই।

সনিয়া গাঁধীর নৈশভোজে উপস্থিত হচ্ছেন বিরোধীরা। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৬
Share: Save:

মেনুতে বিরোধী জোট। শেষ পাতে বাংলার রসমালাই।

দশ জনপথে সনিয়া গাঁধীর নৈশভোজে রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ-সহ কুড়িটি বিরোধী দলের নেতা। আগে এই সংখ্যাটাই ছিল সতেরো। নরেন্দ্র মোদীর শরিক যখন খসছে, বাড়াচ্ছেন সনিয়া। লোকসভা ভোটের আগে গা-ঘামানো। মোদী-বিরোধী জোটের রাশ নিজের হাতে নিয়ে রাহুল গাঁধীর গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ানো। প্রতিনিধি পাঠালেও নিজে আসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী বা অখিলেশ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই সনিয়ার প্রশ্ন, ‘‘মমতা কেমন আছেন? বাংলায় কী পরিস্থিতি?’’ সুদীপ বললেন, ‘‘ভাল। বাংলায় তৃণমূলই সেরা।’’ সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে আবার এটা-ওটা খাওয়ার অনুরোধ করে সনিয়া বললেন, ‘‘ওহ্, বাংলার কোনও ডিশ নেই না? তবে রসমালাই তো আছে।’’

আপাদমস্তক ঘরোয়া আড্ডায় আসলে ভাব জমানোই ছিল সনিয়ার লক্ষ্য। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের যখন আর বেশি বাকি নেই। বিরোধী জোট এখনও সে ভাবে দানা বাঁধেনি। তার উপর রাহুলের নেতৃত্বে অনেকে স্বচ্ছন্দ নন বলে গুঞ্জন উঠছে কিছু ক্ষেত্রে। মমতা আবার টিআরএসের চন্দ্রশেখর রাও, ডিএমকে-র এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলছেন। শরদ পওয়ার পৃথক বিরোধী সম্মেলন করছেন। যা দেখে অনেকের মত, সে প্রয়াস যতটা না বিজেপি-বিরোধী, তার থেকেও বেশি কংগ্রেস-বিরোধী। পওয়ার অবশ্য আজ ছিলেন নৈশভোজে। রাহুল তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন অনেকক্ষণ।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস দফতরে কেন সীতা

ভোজ শেষে টুইট করলেন রাহুল: ‘‘অসাধারণ নৈশভোজ। নানা দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া স্তরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর সুযোগ। অনেক রাজনৈতিক কথা হল। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক শক্তি, উষ্ণতা ও অকৃত্রিম স্নেহ।’’ এটাই চাইছিলেন সনিয়া। নরেন্দ্র মোদী, অচল সংসদ, রাজ্যসভার ভোট, উত্তর-পূর্বের নির্বাচন, বিজেপির দাদাগিরি, ঔদ্ধত্য— সব নিয়েই কথা হল খাবার টেবিলে। কিন্তু সরাসরি জোট নিয়ে এখনই কথা না বলে চেষ্টা হল জোটের একটি আবহ তৈরি করার।

সে কারণে নিজের বাড়িতে আজ পওয়ার-সহ, ডিএমকে-র কানিমোজি, লালুর ছেলে-মেয়ে তেজস্বী ও মিশা ভারতী, সপা-র রামগোপাল যাদব, বসপা-র সতীশ মিশ্র— টেনে নিলেন সকলকেই। নতুন অতিথি বাবুলাল মরান্ডি এবং একদা নীতীশের জোটসঙ্গী জিতন রাম মাঁঝি। সম্প্রতি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে সনিয়া বলেছিলেন, বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় স্তরে জোট দরকার। রাহুলকে পাশে নিয়ে সেই কাজটিই শুরু করে দিলেন সনিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE