প্রণামী এ বার সোয়াইপ কাউন্টারেও। শনিবার দেওঘরে। —নিজস্ব চিত্র
এবার জটাধারী ভোলেবাবাও ক্যাশলেস দান গ্রহণ শুরু করলেন!
দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দিরের ভোলেবাবার টানে সারা বছর ধরে শুধু ঝাড়খণ্ড নয়, ভিন রাজ্য থেকেও আসেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী। সেই বাবাধামেও গত আট নভেম্বর নোট বাতিলের পর থেকে পুণ্যার্থীর টান পড়েছিল। টান পড়েছিল দান-পেটিতে। তাই এবার মূল মন্দিরের দান পেটির পাশেই খোলা হল ‘সোয়াইপ কাউন্টার’, ক্যাশলেস দান গ্রহণের ব্যবস্থা। ‘সোয়াইপ মেশিনের’ মাধ্যমে পুণ্যার্থীরা ভোলেবাবাকে দক্ষিণা দিতে পারবেন। নগদ বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর নেই। মন্দিরের ম্যানেজার রমেশ কুমার পরিহস্তের কথায়, ‘‘গত কাল থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তার পর বেশ কিছু ভক্ত অনলাইনেই দান করেছেন।’’ রমেশবাবু জানান, এখন একটি কাউন্টারই খোলা হয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই তীর্থস্থানে সারা বছর ধরেই লক্ষাধিক মানুষ আসেন। শুধু শ্রাবণ মাসেই মন্দিরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ। দক্ষিণা জমা পড়ে কয়েক কোটি টাকা। রমেশবাবু জানান, ‘‘অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা অনেকদিন ধরেই চালু হয়েছে। সুতরাং ডিজিটাইজেশনের কাজ বাবাধামে একেবারে নতুন নয়।’’ আজ সকালে গিরিড থেকে রাহুল মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী বাবাধামে পুজো দিতে এসেছিলেন। রাহুলবাবু বলেন, ‘‘আমি দক্ষিণা দেবার জন্য খুচরো টাকাও এনেছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম ক্যাশলেস ব্যবস্থা রয়েছে তখন ডেবিট কার্ডই ব্যবহার করলাম। তাঁর মতে, ‘‘এটাই বেশ ভাল।’’ তবে শুধু মন্দিরের দানপেটিই নয় মন্দির প্রাঙ্গনের ফুল-মালা-ডালার দোকান থেকে শুরু করে নানা ধরনের দোকান রয়েছে। সেখানেও ক্যাশলেস পদ্ধতি চালুর জন্য
উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। দেওঘরের জেলাশাসক আরভা রাজকমল জানান, ‘‘মন্দিরের আশপাশে ছোটবড় একশোটির মতো দোকান রয়েছে। দোকানমালিকদের আমরা বোঝাচ্ছি।’’ খুচরোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে জেনে অনেক দোকানদার সোয়াইপ মেশিন রাখতে রাজি হয়েছেন বলে জেলাশাসকের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy