Advertisement
E-Paper

জয়ার কেন্দ্রে জয়ী দিনকরন

আর কে নগর যে-হেতু আর পাঁচটা আসনের মতো নয়, খোদ জয়ললিতার কেন্দ্র— তাই শুরু থেকেই নজর ছিল সব মহলের। ভোটে বিরাট ভাবে টাকার লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫০
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

জয়ললিতার কেন্দ্রেই মুখ পুড়ল সরকারি দল এডিএমকে-র। আম্মার উত্তরাধিকারের লড়াইকে জমিয়ে দিয়ে আর কে নগর বিধানসভার উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতলেন শশিকলার ভাইপো টিটিভি দিনকরন। হারলেন মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামীর নেতৃত্বাধীন এডিএমকে-র প্রার্থী ই মধুসূদনন। আর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়তেই দিনকরন দাবি করলেন, ‘‘পলানী সরকারের শেষের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ওদের পতন হবে তিন মাসের মধ্যেই।’’

জয়ললিতার মৃত্যুর পরে তামিল রাজনীতিতে অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত জেলবন্দি শশিকলার প্রভাব কাটিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী। হাত মেলান এডিএমকে-র আর এক শীর্ষ নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমের সঙ্গে। এডিএমকে-র কর্তৃত্ব তাঁদের হাতে আসে, সঙ্গে দলের অধিকাংশ বিধায়ক, সাংসদ। এমনকী, নির্বাচন কমিশনের থেকে ‘জোড়া পাতা’ প্রতীকের উত্তরাধিকারও পান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই শিবিরেরই পাশে দাঁড়ান। অন্য দিকে প্রতীক থেকে শুরু করে দলের ক্ষমতা দখল— গোটা লড়াইয়েই পিছিয়ে ছিলেন দিনকরন। এমনকী, ‘জোড়া পাতা’-র দখল পেতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তবে এত কিছুর পরেও আজ মানুষের রায়ে শশীর ভাইপোর জিতে যাওয়া গোটা এডিএমকে-কে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ধাক্কা আরও বেশি— কারণ, দিনকরন ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন, যা ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে জয়ার থেকেও বেশি!

আর কে নগর যে-হেতু আর পাঁচটা আসনের মতো নয়, খোদ জয়ললিতার কেন্দ্র— তাই শুরু থেকেই নজর ছিল সব মহলের। ভোটে বিরাট ভাবে টাকার লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। পরে ভোট প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হলেও পর্দার আড়ালে ফের টাকার খেলার অভিযোগ ওঠে দিনকরনের বিরুদ্ধে। এ বার যদিও তা খারিজ করে কমিশন। তবে আজ এডিএমকের অনেকেই বলতে চাইছেন, টাকার জোরেই জিতেছেন দিনকরন। তবে এটা ঘটনা যে গত ১৮ বছরে এই প্রথম কোনও উপনির্বাচনে তামিলনাড়ুর শাসক দল হেরে গেল। জামিনে মুক্ত দিনকরন পেয়েছেন ৮৯ হাজার ১৩টি ভোট। আর এডিএমকে প্রার্থী, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা মদুসূদনন পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩০৬টি ভোট। তবে এর পরেও পলানী শিবির বলছে, এ সবের সঙ্গে নেত্রীর উত্তরাধিকারের প্রশ্নকে জোড়া ঠিক নয়।

এ সব যুক্তিকে অবশ্য গুরুত্বই দিচ্ছে না দিনকরন শিবির। ভোটে জয়ললিতার ছবিকে সামনে রেখে ‘প্রেশার কুকার’ প্রতীক নিয়ে লড়েছেন শশীর ভাইপো। তাঁর দাবি, ‘‘আমরাই আসল এডিএমকে। নেত্রীর উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাকেই বেছে নিয়েছেন মানুষ।’’ দিনকরনের দাবি, তিনি বলে আসছিলেন, পলানীস্বামীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। কিন্তু রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে দেননি। এ বার নেত্রীর কেন্দ্রের মানুষই সব অঙ্ককে উল্টে দিয়েছে।

জয়ার চিকিৎসা নিয়ে শশিকলা তথ্য গোপন করেছেন, অভিযোগ এনেছিলেন এডিএমকে-র নেতারা। জবাব দিতেই হাসপাতালের বেডে জয়ার খাবার খাওয়ার ভিডিও সামনে আসে। তার পিছনেও দিনকরনের হাত ছিল বলে অনেকে মনে করছেন। আজ তাই অনেকেই বলছেন, ভিডিও-র ফল হাতে হাতে মিলছে।

এডিএমকে Tamil Nadu RK Nagar Bypoll AIADMK Jayalalithaa আরকে নগর টিটিভি দিনকরন Dhinakaran
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy