ফাইল চিত্র।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার মাচিল সেক্টরে এক দল জঙ্গির সঙ্গে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয় জওয়ানদের। সংঘর্ষ চলাকালীন এক জনকে খতম করে সেনা। বাকিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তাদের ছোড়া গুলিতে ওই জওয়ান নিহত হন। ওই সময়েই তাঁর দেহ বিকৃত করে দেয় তারা। নিহত জওয়ান মনজিত্ সিংহ ১৭ শিখ ইনফ্যান্ট্রিতে ছিলেন। শুক্রবার সকালেও মাচিল পাক রেঞ্জার্সদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে বিএসএফের। রেঞ্জার্সদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন এক বিএসএফ জওয়ান।
সেনা সূত্রে খবর, ব্যাপক মাত্রায় গোলাগুলি চালিয়ে জঙ্গিদের পালাতে সাহায্য করে পাক সেনা। জওয়ানের দেহ বিকৃতির সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের এ ধরনের বর্বরতা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাক রেঞ্জার্স। পাল্টা জবাব দিচ্ছে বিএসএফও। শুক্রবার সকালেও দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলে। বিএসএফ-এর পাল্টা জবাবে ১৫ পাক সেনার মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকটি সেনাচৌকিও ধ্বংস করে দেয় বিএসএফ জওয়ানরা। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্স। সেই সুযোগে এক দল জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সেনা। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হলে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।
পুরো ঘটনাটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে জানানো হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) এই বর্বর কর্মকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলেই মনে করছে সেনা। কয়েক জন জঙ্গি নিয়ে এক একটি ছোট ছোট দল তৈরি করে পাক সেনারা। সেই দলগুলি ভাগ হয়ে নিয়ন্ত্রণরেখায় সব সময় একটা উত্তেজনা তৈরি করায় ব্যস্ত থাকে। ২০১৩-য় জম্মু-কাশ্মীরের মেন্ধর সেক্টরে পাকিস্তানের এই বর্ডার অ্যাকশন টিম-ই এক ভারতীয় সেনার মুণ্ডু কেটে নিয়ে গিয়েছিল এবং অন্য এক জওয়ানের দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। ভারতীয় সেনা এই ঘটনার বদলাও নিয়েছিল।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy