মনিকা খানগেমবাম। সৌজন্যে ফেসবুক।
আবার সেই জাতিবিদ্বেষ! দিল্লি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। আমার পাসপোর্টের দিকে তাকিয়ে অফিসার জিজ্ঞাসা করল, “ভারতীয় বলে তো মনে হচ্ছে না।” আমি তাতে খুব একটা প্রতিক্রিয়া না জানানোয় ওই অফিসার গা জ্বালানো হাসি হেসে বলল, “পাক্কা ভারতীয় তো?” ভারতীয়ত্ব কী, ভারতের কতগুলো রাজ্য তাঁর এই প্রশ্নগুলো আমাকে সবচেয়ে বিব্রত করেছিল। অফিসারের পাশের কাউন্টারের মহিলাটি এ সব শুনে খ্যাক খ্যাক করে হাসছিল। অফিসারকে অনুরোধ করলাম বিমান ধরতে দেরি হয়ে যাবে। কোনও পাত্তাই দিলেন না। উল্টে বললেন, “না না তোমাকে বলতেই হবে।” অসহায়ের মতো তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিলাম। আবার তাঁর প্রশ্ন, “কোথা থেকে?” উত্তর দিলাম মণিপুর। ফের প্রশ্ন করলেন, “কোন কোন রাজ্য মণিপুরের সীমানা লাগোয়া। আমি চুপ রইলাম। বললাম, দেরি হয়ে যাচ্ছে। উত্তরের জন্য জোরাজুরি করতে লাগলেন। বললেন, ধীরে সুস্থে জবাব দিন, আপনাকে না নিয়ে বিমান যাবে না। এ রকম অপমানিত আগে কখনও হইনি। মনে হচ্ছিল আমাকে ভারতীয়ত্ব বোঝানোটাই অফিসারের একমাত্র মিশন। এই ধরনের লোকগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোনও উপায় আছে কি?
গত রাতে আমার হতাশা ফেসবুকে ব্যক্ত করলাম। দিল্লি বিমানবন্দরে কী ঘটেছিল সেটা লিখলাম। ধারণা ছিল না এই পোস্টটা ভাইরাল হয়ে যাবে, কিছু সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর করবে। অনেকেই আমার সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। অনেকে আবার বলেছেন, “যত্ত সব, এটাকে জাতিবিদ্বেষ বলে!”
পরিষ্কার কথা, আমাকে যদি সোলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করত তা হলে কিছু মনে করতাম না। আমি কোথা থেকে আসছি এটা জিজ্ঞাসা করলেও কিছু মনে করতাম না। কিন্তু যে ভাবে প্রশ্ন করা হল সেটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি তো আর বাচ্চা নই যে এ ধরনের প্রশ্ন করবে?
সত্যি কথা বলতে কী, আমার তখন সময় ছিল না এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার। বিমান ধরতে চলে যাই। ভয় হচ্ছিল আমার ভিসায় স্ট্যাম্প মারবেন তো ওই অফিসার!
আরও খবর...
ফের মণিপুর, ফের জাতিবিদ্বেষ, এই কথা শুনতে হল এঁকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy