উদ্ধব ঠাকরের পর চন্দ্রবাবু নায়ডুও বেগ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদীকে। এখনই জোট না ভাঙলেও যে কোনও সময় সম্পর্ক ছেদের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছেন। বিজেপির এই শরিক যন্ত্রণার মধ্যেই আজ খোঁচা এল আর এক পুরনো বন্ধু শিরোমণি অকালি দলের থেকেও।
আজ অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে তেলুগু দেশম। হাঙ্গামা করে রাজ্যসভাতেও। এরই মধ্যে অকালি দল প্রকাশ্যে তেলুগু দেশমের পাশে দাঁড়িয়ে মোদীর অস্বস্তি বাড়াল।
অকালি দলের সাংসদ নরেশ গুজরাল আজ বলেন, ‘‘তেলুগু দেশমের দাবি ন্যায্য। পঞ্জাবের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমরাও একই ধরনের অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছি।’’ শিলিগুড়িতে ছাত্র-যুব সমাবেশের মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। নিজে এনডিএ-র শরিক না হয়েও টিডিপি-র পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘অন্ধ্রকে পুরো সমর্থন করছি। আমরা যে কোনও বঞ্চনার প্রতিবাদে থাকব। তবে বাংলাই সব থেকে বেশি বঞ্চিত।’’ ভবিষ্যতে এনডিএ ভাঙলে নতুন সমীকরণের দিকে তাকিয়েই তাঁর এই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
বিহারে অসন্তোষ জানাতে শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টিও! রাজ্য জুড়ে দলের সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশহওয়াকে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ পদে দেখতে চেয়ে পোস্টার-ব্যানার লাগানো হয়েছে। এতে চটেছে শাসক দল জেডিইউ এবং বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে জেডিইউ এবং আরএলএসপি নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেখলেই বোঝা যাবে এনডিএ ছাড়তে তৈরি হয়ে রয়েছেন উপেন্দ্র কুশহওয়া।
আসলে বাস্তবের জমিতে বিজেপির রাশ আলগা হতে দেখে এখন একের পর এক শরিকও জোটের অস্বস্তি বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেটি বুঝতে পেরেই আজ রাজ্যসভায় প্রথম বক্তৃতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বারবার এনডিএ-র নাম নেন।
কিন্তু এক শরিক দলের নেতার মন্তব্য, ‘‘এত দিন এক বারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে ডেকে চা-টুকু খাওয়াননি। এখন বিপাকে পড়ে মুখে এনডিএ নাম।’’ তেলুগু দেশমের নেতারাও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘বাজেটে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য কোনও প্যাকেজই ঘোষণা করা হয়নি। সরকারকে আরও পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পদক্ষেপ না করলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy