হাতের ছোঁয়া: জয়োৎসবে ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব ও উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা রাম মাধব। আগরতলায়। ছবি: পিটিআই
ভোটের আগেই বিজেপি নেতৃত্ব সাফ করে দিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন যুব নেতা বিপ্লব দেবই। শেষ মুহূর্তে কোনও বদল না ঘটলে ত্রিপুরায় বিজেপি সভাপতি বিপ্লবই মানিক সরকারের উত্তরসূরি হতে চলেছেন। আজ সন্ধ্যায় বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরার যুব নেতৃত্বের তারিফ করেন। জানান, ভোটটি সামলেছেন যুবকেরাই। তাঁরা কেউ তারকা নন, বড় বক্তা নন। কিন্তু বাড়ি বাড়ি ঘুরে আস্থা তৈরি করেছেন। বোঝাতে পেরেছেন, ‘‘আমি আপনাদের লোক।’’
অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করান, এত কম বয়সিদের প্রার্থী করা হয়েছে যে জন্মের সার্টিফিকেট পরখ করে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সেই সুর ধরে প্রধানমন্ত্রীও বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ওঁদের দেখতে লাগত কলেজ ছাত্রের মতো। আমাদের ভয় ছিল ২৫ বছরের কম না হয়।’’ বিজেপির এক নেতা জানালেন, যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী, সভাপতি তারুণ্যের তারিফ করছেন তখন ৪৮ বছরের বিপ্লবের ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ার প্রবল সম্ভাবনা। সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে স্থির হয়েছে, জুয়েল ওরাম ও নিতিন গডকড়ীকে পর্যবেক্ষক হিসেবে ত্রিপুরায় পাঠানো হবে। তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা স্থির করবেন।
কিন্তু দৌড়ে এগিয়ে থাকা বিপ্লবের পরিচয় কী? তিনি এক সময়ে দিল্লিতে কাজ করতেন জিম প্রশিক্ষক হিসেবে। তাঁর স্ত্রী স্টেট ব্যাঙ্কে কর্মরত। কিন্তু আরএসএসের সঙ্গে যোগ বহুদিনের। নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। গোবিন্দাচার্যের কাছে হাতেখড়ি। আরএসএস থেকে আসা যে সুনীল দেওধরকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়েছিলেন অমিত শাহ, তিনিও বিপ্লবকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন। অমিত শাহ যখন বুঝতে পারেন, ত্রিপুরায় জেতার জমি তৈরি হচ্ছে তখন বিপ্লবকে পাঠান রাজ্যের সভাপতি করে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মনের ছেলে সুদীপও রয়েছেন বলে মত বিজেপি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় সাফল্য, নেপথ্যে সঙ্ঘ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy