কেন্দ্রের মন্ত্রীদের দিয়ে জোরালো প্রচারের ঝড় তুলেও শেষ রক্ষা হল না। ওডিশা থেকে মধ্যপ্রদেশ— উপনির্বাচনে ফের ধাক্কা খেল বিজেপি। খাতা খুলল না কোনও রাজ্যেই।
ওডিশার বিজেপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এ বার জয়ী হয়েছে বিজেডি। এই একটি কেন্দ্রের ভোটে জেতার জন্য প্রচারের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও জুয়েল ওঁরাওকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রচারের নেমেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়তেই থেকে যেতে হয়েছে বিজেপিকে। বিডেডি প্রার্থী রীতা সাহু ৪১,৯৩৩ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের বিধায়ক সুবল সাহুর মৃত্যুর জন্যই এখানে ভোট হয়েছিল। কিন্তু উপনির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেস রয়েছে তৃতীয়তে। আর প্রায় ১৫ বছর পরে আসনটি নিজেদের দখলে আসায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। তাঁর দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই জয়ের প্রভাব পড়বে।
আজ মধ্যপ্রদেশের দু’টি আসন মুঙ্গারেলি ও কোলারসও কংগ্রেসের হাতে এসেছে। মুঙ্গারেলিতে ২,১২৪ ভোটে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ব্রিজেন্দ্র সিংহ যাদব। কোলারসে প্রায় ৮ হাজার ভোটে বিজেপিকে হারিয়েছে কংগ্রেস। কিছু দিন আগে বিজেপি-শাসিত আর এক রাজ্য রাজস্থানের উপনির্বাচনেও বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল গাঁধীর দল। রাজস্থানের ভোটের আগে যা মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে আজকের হারও একই ভাবে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের।
এই দু’টি কেন্দ্রই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার লোকসভা কেন্দ্র গুণা-র মধ্যে পড়ে। আর আসনগুলিও হাতে ছিল কংগ্রেসের। তাই রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার জ্যোতিরাদিত্যের কাছে এই ভোট ছিল সম্মানের লড়াই। এই ভোটকে তাই তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রী চৌহানের লড়াই হিসেবে তুলে ধরেছিলেন সিন্ধিয়া। দুই কেন্দ্রে ১৫টি রোড শো, ৭৫টি জনসভা করে হাওয়া গরম করে দিয়েছিলেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শিবরাজও। ১০টি রোড শো, ৪০টি জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে রাজ্যের ১৮ জন মন্ত্রী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অনেকেই বলছেন, ভোটের প্রচারে মাধবরাও ও বসুন্ধরা রাজের বোন এবং রাজ্যের মন্ত্রী যশোধরা রাজে সিন্ধিয়ার মন্তব্যও ভোটারদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কংগ্রেসকে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রান্নার গ্যাস কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, ভোটাররা বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy