Advertisement
E-Paper

কাশ্মীরে নিহত দুই জঙ্গি, চলছে পাক গোলাও

নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জম্মুর রাজৌরিতে আজও উড়ে এল পাক সেনার মর্টার। কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে একই দিনে কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০৩:৪০
আশ্রয়: পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসছে গুলি। ঘর ছেড়েছেন গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ ঢুকেছেন কালভার্টের নীচে। নৌশেরায়। ছবি: পিটিআই।

আশ্রয়: পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসছে গুলি। ঘর ছেড়েছেন গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ ঢুকেছেন কালভার্টের নীচে। নৌশেরায়। ছবি: পিটিআই।

নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জম্মুর রাজৌরিতে আজও উড়ে এল পাক সেনার মর্টার। কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে একই দিনে কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। আজ কুপওয়ারায় সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হল দুই জঙ্গি। উত্তরপ্রদেশের সোনাউলিতেও গত কাল নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে গিয়ে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর হাতে ধরা পড়ে হিজবুল মুজাহিদিনের এক জঙ্গি। ভারতে কোনও হামলার দায়িত্ব দিয়েই তাকে পাঠানো হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ কুপওয়ারার হান্দোয়ারার ভগৎপুরা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। তখনই তাদের লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। বাহিনীর পাল্টা গুলিতে মারা যায় দুই জঙ্গি। পুলিশের সন্দেহ, এরা লস্কর-ই-তইবার সদস্য এবং গত ২৬ এপ্রিল কুপওয়ারার সেনা ছাউনিতে হামলার ঘটনায় জড়িত।

এসএসবি-র লখনউ ফ্রন্টিয়ারের প্রথম ব্যাটালিয়ন গত কাল বিকেলে যে হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে, সে আদতে জম্মু-কাশ্মীরের রাম্বান জেলার বানিহালের বাসিন্দা। নাসির আহমেদ ওরফে সাদিক নামে ওই জঙ্গি হিজবুলে যোগ দেয় ২০০৩ সালে। ২০০৪-এ পাকিস্তানে গিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ার ‘আটাক’-এ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয় হিজবুল ও আইএসআইয়ের কাছে। গোয়েন্দাদের দাবি, মহম্মদ সফি নামে এক সঙ্গীকে নিয়ে পাকিস্তানের ফয়সলাবাদ থেকে শারজা হয়ে গত ১০ মে কাঠমান্ডু আসে সাদিক। সেখান থেকে শাল ও কার্পেট ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে বাসে চড়ে। তার কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও পাকিস্তানের ঠিকানা দেওয়া একটি পরিচয়পত্র মিলেছে।

রাজৌরি নিয়ে অবশ্য মাথাব্যথা বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে টানা চার দিন সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাক সেনা। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শাহিদ ইকবাল চৌধুরি জানান, আজ সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ চিটিবকরি এলাকায় ছুটে আসতে থাকে গুলি, ৮২ ও ১২০ মিমি মর্টার শেল। মাঞ্জাকোটের অন্তত সাতটি গ্রামের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে অন্তত হাজারখানেক স্থানীয় বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে। নৌশেরার ৫১টি স্কুল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগেই। সেই সঙ্গে মাঞ্জাকোট এবং ডুঙ্গির ৩৬টি স্কুলও আপাতত তিন দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ৪৬০০ পডুয়ার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

Militants Death Encounter LeT Militants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy