Advertisement
E-Paper

শ্রীশ্রী নয়, অযোধ্যা নিয়ে যোগীর ভরসা আদালতই

আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর কয়েক দিন ধরে অযোধ্যায় হিন্দু, মুসলমান সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে মন্দির-মসজিদ বিবাদের রফা খোঁজার চেষ্টা করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৭
যোগী আদিত্যনাথ।

যোগী আদিত্যনাথ।

অযোধ্যা নিয়ে আদালতের বাইরে রফার চেষ্টা করছিলেন শ্রীশ্রীরবিশঙ্কর। সে চেষ্টা বিশ বাঁও জলে চলে গেল।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথই বলছেন, এখন এই প্রচেষ্টার অর্থ নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্টে ৫ ডিসেম্বর থেকে অযোধ্যা শুনানি শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে আদালতের বাইরে আলোচনা বা মধ্যস্থতা কোর্টের কাজে বাধা তৈরি করতে পারে।

আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর কয়েক দিন ধরে অযোধ্যায় হিন্দু, মুসলমান সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে মন্দির-মসজিদ বিবাদের রফা খোঁজার চেষ্টা করছেন। তিনি বৈঠক করেছেন আখাড়া পরিষদ, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের নেতাদের সঙ্গে। শ্রীশ্রী নিজে অস্বীকার করলেও, রাজনৈতিক নেতারা নিশ্চিত, গুজরাত ভোটের আগে মোদী-অমিত শাহর সবুজ সঙ্কেত নিয়েই এ কাজে নেমেছিলেন তিনি।

কিন্তু অযোধ্যার আখড়াগুলির গেরুয়াধারী সাধুরা এই শ্বেত বস্ত্রের গুরুকে মেনে নিতে পারছেন না। রাম জন্মভূমি ন্যাসের নৃত্যগোপাল দাস, হনুমান গড়ির মহন্ত রাম দাস, জ্ঞান দাসরাই এত দিন রামমন্দিরের দাবিতে গলা ফাটিয়েছেন। এখন শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর রামমন্দিরের সূত্র বের করে ফেললে তাঁদের গুরুত্ব কমে যায়। মহন্ত জ্ঞান দাস প্রশ্ন তুলেছেন, শ্রীশ্রী এর মধ্যে কোথা থেকে এলেন?

সমস্যা বাড়ছে দেখেই যোগী বলছেন, ‘‘আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি চেয়েছিলাম। কিন্তু মুসলিমরা তা না বুঝলে কোর্টের বাইরে রফা সম্ভব নয়।’’ শ্রীশ্রী-র অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের নেতা জাফরিয়াব জিলানিও। যিনি বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটিরও আহ্বায়ক। তিনি আদালতেই নিষ্পত্তির পক্ষে। উল্টো দিকে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভির প্রস্তাব, অযোধ্যায় মন্দির হোক, লখনউয়ে মসজিদ।

জিলানির দাবি, এখানে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের কোনও ভূমিকাই নেই। কারণ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার জমি রাম লালা, নির্মোহী আখাড়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলেছিল।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। নির্মোহী আখাড়ার মহন্ত দীনেন্দ্র দাসেরও মত, শিয়া বোর্ড অকারণ রাজনীতি করছে। তারা এই মামলার শরিক নয়।

১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। তার ঠিক ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনেই সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। আদিত্যনাথের নজর আপাতত সেদিকেই।

Ayodhya Ram Temple Yogi Adityanath Sri Sri Ravishankar অযোধ্য রাম মন্দির যোগী আদিত্যনাথ শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy