যোগী আদিত্যনাথের শপথ মঞ্চেই নরেন্দ্র মোদীর কানে কানে নাকি মুলায়ম সিংহ বলেছিলেন, একটু অখিলেশের খেয়াল রাখবেন! এ বার সেই অখিলেশের বিরুদ্ধেই সিবিআইয়ের থাবা বসার প্রস্তুতি চলছে।
বিজেপির এক সূত্রের খবর, অখিলেশ জমানার বিভিন্ন দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। প্রাথমিক তদন্তের পর প্রয়োজন মতো রাজ্য সরকার সেগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে পারে। বিজেপি সূত্রের দাবি, গত কালই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দিল্লি এসে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এই বিষয়ে দুই নেতার কথাও হয়েছে বলে বিজেপি শিবিরের খবর। দলের মতে, লোকসভা ভোটে মোদীকে ঠেকাতে রাহুল গাঁধী, অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা একজোট হতে পারেন। মায়াবতী, মুলায়ম সিংহরা ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের জালে। এখনও পর্যন্ত অখিলেশের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। এ বার তাঁর জমানার গরমিল তুলে রাহুলের ‘দোসর’ অখিলেশের গায়েও দুর্নীতির প্রলেপ লাগাতে তৎপর বিজেপি।
বিজেপির এক নেতার মতে, মায়াবতী জমানার দুর্নীতি ঢাকতে অখিলেশ সরকার কোনও প্রয়াস করেনি। উল্টে তাঁর নিজের জমানাতেও দেদার দুর্নীতি হয়েছে। গোমতী ‘রিভারফ্রন্ট’ প্রকল্প, ২১ টি চিনিকল নামমাত্র দামে দেওয়া, জওহরলাল নেহরু নগরোন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতি ইতিমধ্যেই যোগী সরকারের নজরে এসেছে। তার উপর আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে, এমনকী ভোটের ফল ঘোষণার পরেও অখিলেশ সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগী সরকার সেগুলিও খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য জানিয়েছেন, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে আপস করা হবে না।’’
আরও পড়ুন...
ব্যালট ফেরানোর দাবি, বিরোধীদের নেতৃত্বে সেই তৃণমূল নেত্রী
কংগ্রেস অবশ্য বলছে, মোদী সরকার বরাবরই সিবিআইয়ের অপব্যবহার করে বিরোধীদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছে। হিমাচলের ভোটের আগে সিবিআই, ইডিকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকে হেনস্থা করা হয়েছে। অথচ বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাবা রামদেবকে জমি দেওয়া নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। রাজ্যসভায় এ নিয়ে হইচই করে আজ অধিবেশন কিছু ক্ষণ স্তব্ধও করে রাখে কংগ্রেস। তবে বিজেপির বক্তব্য, তারা কখনও প্রতিহিংসা নিয়ে কাজ করে না। বরং কংগ্রেস আমলেই সিবিআইকে ‘কংগ্রেস ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ বলা হতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy