এত সহজে হৃদয় জয় করা যায়! পাওয়া যায় অন্যের হৃদয়?
যাকে বলে, মাদারিকা খেল হৃদয়ের!
শুনবেন সেই হৃদয়ের কথা? গল্প নয়, সত্যি।
বেঙ্গালুরু থেকে যে হৃদয় উড়ে আর দৌড়ে পৌঁছে গেল চেন্নাইয়ে। মাত্র ৫৫ মিনিটে!
আর চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে চোখের নিমেষে সেই হৃদয়ের পেরুম্বাক্কমে গ্লোবাল হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়ার জন্য পুলিশকে বানিয়ে দিতে হল ‘গ্রিন করিডর’!
যে হৃদয়ের কথা বলছি, সেটা কার ছিল, জানেন?
এমন একটি মানুষের, যাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে (ব্রেন ডেথ) অল্প কিছু ক্ষণ আগে।
কিন্তু, কী এমন তাড়া ছিল ওই হৃদয়ের চটজলদি বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়ার?
তাড়া ছিল। চেন্নাই থেকে কিছুটা দূরে, পেরুম্বাক্কমের গ্লোবাল হাসপাতালে এক রোগীর হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান হচ্ছিল। তাঁর জন্য দরকার ছিল বেশ সুস্থ, সবল একটি হৃদয়ের।
কিন্তু, কে আর হৃদয় দিতে চায়? ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে?’ তাই তেমন হার্ট পাওয়া যাচ্ছিল না, হাতের কাছে। খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান মিলল বেঙ্গালুরুতে। যাঁর হার্ট, তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে সদ্য সদ্যই।
আরও পড়ুন- এডস রোখার হাতিয়ার আসছে? মশাল এক বাঙালির হাতেই!
কিন্তু, সেই হার্ট-টা তো খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে হবে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। না হলে সেই হার্ট-টা তো আর সুস্থ, সবল থাকবে না।
তাই রবিবার বেলা ১২টা বেজে ৫৯ মিনিটে বেঙ্গালুরু থেকে সেই হার্ট নিয়ে আকাশে উড়ল একটি বিমান। চেন্নাই বিমানবন্দরে তা নামল দুপুর দেড়টায়। বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। দুপুর একটা চল্লিশ মিনিটে সেই হার্ট নিয়ে কার্যত ঝড়ের গতিতে ছুটতে শুরু করল সেই অ্যাম্বুল্যান্স। র্যাডিকাল রোড হয়ে মাধবক্কম হাই রোড ধরে প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার পথ মাত্র ১৪ মিনিটে পাড়ি দিয়ে পেরুম্বাক্কমে গ্লোবাল হাসপাতালে পৌঁছে গেল অ্যাম্বুল্যান্স। সেই যাত্রাপথে ছিল বড় বড় সাতটি জংশন।
কিন্তু জনা পঁচিশেক পুলিশ কর্মীর তৎপরতায় সব ‘বাধা’ই টপকে গেল হৃদয়!
জয় হল হৃদয়েরই!
বিজ্ঞানেরও নয় কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy