এই সেই গ্রহাণু, যা ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে...
সুবিশাল একটা গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড ছুটে আসছে আমাদের দিকে। প্রায় উল্কার গতিতে! সেই বিশাল গ্রহাণুটি আদৌ কৃষ্ণ কালো নয়! বরং চাঁদ যতটা আলো তার পিঠ থেকে ঠিকরে দেয়, তার দ্বিগুণ আলো ঠিকরে দিতে পারে এই গ্রহাণুটি। হুশ্ করে সেই গ্রহাণুটি এসে পড়বে নববর্ষের পরপরই। আর, তা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে ১৯ এপ্রিল। গত ৪০০ বছরে এই গ্রহাণুটি এত কাছে আসেনি পৃথিবীর। আগামী ৫০০ বছরে আর এত কাছে আসবেও না।
গ্রহাণুটির নাম- ‘২০১৪-জেও-২৫’। মাত্র তিন বছর আগে, ২০১৪-য় আরিজোনার টাকসনে ক্যাটলিনা স্কাই সার্ভে টেলিস্কোপ দিয়েই প্রথম এই বিশাল গ্রহাণুটির হদিশ পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হিসেব কষে যেটুকু বোঝা গিয়েছে, তাতে চেহারায় ওই গ্রহাণুটি হবে প্রায় ২ হাজার ফুট বা ৬৫০ মিটার। তার মানে, কোনও ঘরের উচ্চতা যদি হয় ১০ ফুট, তা হলে প্রায় ২০০ তলা বাড়ির মতো চেহারা ওই গ্রহাণুটির।
দেখুন কী ভাবে ১৯ এপ্রিল বেরিয়ে যাবে সেই গ্রহাণু। সৌজন্যে: নাসা
তবে গ্রহাণুটি খুবই ঝকঝকে, উজ্জ্বল। অবশ্যই তা নিজের আলোয় নয়। সূর্যের আলো তার পিঠে পড়লে তা অনেকটাই প্রতিফলিত হয়। আর সেই প্রতিফলনের মাত্রাটা কত, জানেন? চাঁদ থেকে যতটা আলো প্রতিফলিত হয়, তার দ্বিগুণ। তাই অত ঝকঝকে, অত উজ্জ্বল এই গ্রহাণুটি।
তবে নাসা জানাচ্ছে, গ্রহাণুটি কী পদার্থ দিয়ে তৈরি, তার সারফেস বা পিঠটা কেমন, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এমনকী, সেই গ্রহাণুটির ট্র্যাজেক্টরি বা গতিপথ ঠিক কী রকম, সেটাও এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। শুধু হিসেব কষে এটুকু জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল সেটি যখন আমাদের সবচেয়ে কাছে আসবে, তখন পৃথিবী থেকে সেটি থাকবে ১১ লক্ষ মাইল বা ১৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। তার মানে, চাঁদ যতটা দূরে রয়েছে পৃথিবীর, তার সাড়ে ৪ গুণ দূরত্বে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে আমাদের নিরাপদে রেখেই চলে যাবে গ্রহাণুটি। টেলিস্কোপে দেখা যাবে সেই গ্রহাণুটিকে।
আরও পড়ুন- গ্যালাক্সি থেকে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে দিশেহারা হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ব্ল্যাক হোল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy