ম্যারাথনে অংশ নেওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধীরা।—নিজস্ব চিত্র।
এমনিতেই ঘুমকাতুরে বলে বদনাম রয়েছে কলকাতার। শীতকালে নাকি লেপঘুম দেওয়া বাঙালিদের অন্যতম কর্তব্য। ‘টাটা স্টিল কলকাতা ২৫ কে’ ম্যারাথনে অংশ নিয়ে এই জাতীয় বদনামকেই আজ স্রেফ হেলায় উড়িয়ে দিল কলকাতা। টাটা স্টিল আয়োজিত এই ম্যারাথনে অংশ নিতে ভীড় জমিয়েছিলেন প্রায় ১৪হাজার মানুষ।
তবে, এই মানুষের মধ্যে এমনও কিছু লোক ছিলেন যারা মানসিক ভাবে আর পাঁচজনের মতো হলেও শরীরী ভাবে বিকলাঙ্গ। কারোর পা হারিয়েছে দুর্ঘটনায়, কেউ আবার উঠেই দাঁড়াতে পারেন না, তবে এত কিছুর মধ্যেও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে নিজেদের সমাজে অবহেলিত মানতে নারাজ তাঁরা।
বরং তাঁদের বিশ্বাস, সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে তাঁরা। আর এই বিশ্বাসই তাঁদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। তাঁদের বর্তমান জীবনও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সত্যিই আর পাঁচজনের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তাঁরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিষ্ঠিত। কেউ বহুজাতিক কোম্পানির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, তো কেউ আবার মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। এছাড়াও রয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, আইনজীবীর মতো পেশায় যুক্ত মানুষেরাও।
আরও পড়ুন: শীতের ডিসেম্বরে ম্যারাথন উত্তাপে মাতল তিলোত্তমা
আরও পড়ুন: লি দক্ষ হলে থাকা উচিত ভারতীয় দলে
বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে টপকে এগিয়ে চলার পিছনে এ দিন প্রত্যেকেই নিজের নিজের পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তাঁদের কথায়— “পরিবার কখনই বুঝতেই দেয় না, আমারা প্রতিবন্ধী। পরিবারের সমর্থন না পেলে জীবনে কখনই আমদের সাফল্যের মুখ দেখা সম্ভব হত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy