ব্যাট করছেন বিরাট কোহালি। ছবি: এপি।
দিনের শেষে ১৫২ রানে পিছিয়ে থামল ভারত। হাতে রয়েছে পাঁচ উইকেট। একাই লড়চেন বিরাট কোহালি। ৮৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যর্থ রোহিত শর্মা। মাত্র ১০ রান রাবাডার বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন তিনি। ঋদ্ধিমানকে বসিয়ে রান করার জন্যই আনা হয়েছিল পার্থিব পটেলকে। কিন্তু তিনিও রান পেলেন না। আউট হলে মাত্র ১৯ রানে। এই মুহূর্তে বিরাটের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে বাজিমাত করেছেন হার্দিক। একটি অসাধারণ রান আউট ও একটি দারুণ ক্যাচ নিয়ে। এ বার দেখার ব্যাট হাতে ভারতকে ভরসা দিতে পারেন কিনা।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা ব্যাট হাতে করেছিল ভারত। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে অত কম রানে আটকে দেওয়ার পরও শুরুটা ভাল করতে পারল না ভারতের ব্যাটিসম্যানরা। খারাপ ফর্মের জন্য ওপেনার শিখর ধবনকে বসিয়ে অনেক ঘটনা করে লোকেশ রাহুলকে দলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই যে ভাবে তিনি খোঁচা মেরে আউট হলেন সেটা নির্বাচকদের আবার নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে বাধ্য করবে। মর্কেলের বলে তাঁকেই ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভেলিয়নে যখন ফিরলেন রালুহ তখন তাঁর নামের পাশে মাত্র ১০ রান, ভারত ২৮।
তাঁর জায়গায় নেমে মত্র এক বল খেলে শূন্য হাতে ফিরলেন চেতেশ্বর পূজারা। রান আউট হলেন তিনি। শুরুতেউ এত কিসের তাড়া ছিল তা তিনিই বলতে পারবেন। এর পর ওপেনার মুরলী বিজয়ের সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরলেন স্বয়ং অধিনায়ক বিরাট কোহালি। বিজয়ের আগেই তিনি হাফ সেঞ্চুরিটিও করে ফেললেন। ১২৬ বল করে ৪৬ রান করে আউট হলেন মুরলী বিজয়।
প্রথম দিন ২৬৯/৬ এ থেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিন খুব বেশি সুবিধে করতে পারলেন না দু প্লেসি, মহারাজরা। ৩৩৫ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। প্রথম দিন এলগার শুরুটা খুব ভাল করতে না পারলেও মারক্রাম ও আমলা দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। মারক্রাম ফেরেন ব্যাক্তিগত ৯৪ রানে। আমলা আউট হন ৮২তে।
এর পর এবি ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ২০ রান করে ফিরে যান। ফাফ দু প্লেসি নিজে টিকে গেলেও উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। দ্বিতীয় দিনের অবশ্য বিরাট কিছু করতে পারেননি দু প্লেসি। ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি।ডি ভিলিয়ার্সকেও ফিরিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর বলেই রাবাডার দুরন্ত ক্যাচটি নেন হার্দিক। সব মিলে প্রথম টেস্টে অসুস্থতার জন্য বাইরে থাকার পর দলে ফেরার সঙ্গে ন্যায় করলেন ইশান্ত।
না হলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল প্রথম টেস্টে সফল ভুবনেশ্বর কুমারকে কেন বসিয়ে ইশান্তকে দলে নেওয়া হল? উইকেট না পেলে সেই প্রশ্ন আরও জোড়াল হত। ইশান্ত ছাড়াও এ দিন উইকেট পেলেন মহম্মদ শামি ও অশ্বিন। প্রথম ইনিংস শেষে অশ্বিনের পকেটে এল ৪ উইকেট, ইশান্তের ৩। একটি উইকেট নেন শামি।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়াকে ১০০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ভারতের
প্রথম সেশনের শেষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল-আউট করে ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন মুরলী বিজয় ও লোকেশ রাহুল। এক ওভারই খেলা হয়েছে। দলের ও ব্যাক্তিগত ৪ রান বিজয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy