প্রস্তুতি: ইডেনে বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে টম কারেন। নিজস্ব চিত্র
ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালসের এলিমিনেটর ম্যাচে দ্রুত গতির পিচই অপেক্ষা করছে দুই শিবিরের জন্য। সোমবার পিচ দেখে এসে সে কথাই মনে হয়েছে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
চলতি আইপিএলে ইডেনের পিচ নিয়ে সমস্যা দেখা যায়নি কোনও দলের। বরং প্রত্যেকে সেখানে খেলে বেশ সন্তুষ্ট। ইডেনে আগের ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধেই চার উইকেট নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। রাজস্থানের লেগস্পিনার শ্রেয়স গোপালও ছন্দে আছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন চার উইকেট। দু’দলের বোলিং আক্রমণই স্পিন নির্ভর। কিন্তু ইডেনের এই পিচ যে পেসারদেরই সাহায্য করবে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে সিএবি প্রেসিডেন্টের কথায়। সোমবার সৌরভ বলেন, ‘‘উইকেটে বল সে রকম হয়তো ঘুরবে না। তবে খুবই ভাল একটি উইকেট। বল বাউন্স করার সম্ভাবনাই বেশি।’’
বুধবারের এলিমিনেটরে অজিঙ্ক রাহানেদের বিরুদ্ধে সৌরভ এগিয়ে রাখছেন কলকাতাকেই। তবে এটাও মনে করছেন যে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে একটি ওভারে। সৌরভের বক্তব্য, ‘‘আমার মতে, কলকাতাই এগিয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কোনও কিছুই নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। যে কোনও কিছু ঘটতে পারে।’’
বাউন্স সহায়ক পিচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে শিবম মাভিকে। কেকেআর সূত্রে খবর, আঙুলের চোট সারিয়ে তিনি এখন সুস্থ। সোমবার অনুশীলনে দীর্ঘক্ষণ বল করার পাশাপাশি হালকা ব্যাটও করে নিলেন ১৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। রবিবার রাতে কলকাতায় ফেরার পরে আগের ম্যাচের প্রথম একাদশে থাকা অধিকাংশ ক্রিকেটারই ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেননি।
হায়দরাবাদ ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে শুধুমাত্র নীতীশ রানা ও শুভমন গিল উপস্থিত ছিলেন অনুশীলনে। দলের ব্যাটিং কোচ সাইমন কাটিচের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ধরে চলল শুভমনের পুল ও হুক শট মারার অনুশীলন। দ্রুতগতির পিচে পেসারকে মোকাবিলা করার জন্য এই দু’টি শটই হয়ে উঠবে যে কোনও ব্যাটসম্যানের অস্ত্র। সেই অস্ত্রে শান দেওয়ার জন্য শুভমনও লেগে পড়লেন শর্ট বল সামলানোর ক্লাসে।
অন্য দিকে রাসেল, নারাইন, জ্যাভন সার্লসরা অনুশীলনে না আসলেও টিম হোটেলেই ‘রিকভারি সেশন’-এ যোগ দিয়েছিলেন। ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ দু’টি পুল রয়েছে হোটেলে। যার একটি উষ্ণ জলের। অন্যটিতে বরফগলা ঠান্ডা জল। ঠান্ডা পুলে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েই উষ্ণ জলে নেমে পড়ছিলেন নাইট তারকারা।
নাইটদের ‘রিকভারি সেশন’ শেষে ক্যারিবিয়ান তারকা জ্যাভন সার্লস ‘ফেসবুক লাইভ’-এ বলে দিলেন, ‘‘পুল থেকে বেরিয়ে অনেকটাই সুস্থবোধ করছি। পেশির ক্লান্তি কমানোর জন্যই এ ধরনের সেশন করা হয়। সত্যি শরীরটা অনেক হালকা লাগছে।’’ নাইটদের প্লে-অফের অন্যতম ভরসা রাসেলের বক্তব্য, ‘‘রিকভারি সেশনের পরে মনে হচ্ছে পুরনো শক্তি আবার ফিরে পেয়েছি। কী অসাধারণ অনুভূতি। আমি যদিও ঠান্ডা জলেই বেশি সময় কাটালাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy