হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: রয়টার্স।
দু’একটা ছোটখাটো ত্রুটি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজটা দাপট দেখিয়েই জিতল ভারত। আর এই সিরিজ থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়ে থাকল হার্দিক পাণ্ড্য। ও এখন ভারতের সম্পদ হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক মাস ধরে হার্দিক ক্রমশ নিজের খেলায় উন্নতি করে চলেছে আর নিজেকে এক জন ম্যাচ উইনার হিসেবে তুলে ধরেছে। ওর প্রতিভা আছে, মানসিকতাও ভাল। সেটা ব্যাটিংয়েই হোক কী বোলিংয়ে। এখন ওকে ঠিক দিকে নিজের প্রতিভাকে চালিত করতে হবে।
মণীশ পাণ্ডে, কেদার যাদব-কে নিয়েও খুব সতর্ক থাকতে হবে। আমি শুনেছি ওদের নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি বলব, বিরাট কোহালি ঠিক কাজই করছে ওদের সুযোগ দিয়ে। তরুণদের ক্ষেত্রে আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। তা হলেই ফল পাওয়া যাবে। অজিঙ্ক রাহানে সম্পর্কেও বলব যতটুকু সুযোগ ও পেয়েছে, কাজে লাগিয়েছে। তবে কয়েকটা সেঞ্চুরি ফস্কানোর হতাশা ও নিশ্চয়ই টের পাচ্ছে। টি-টোয়েন্টির জন্যও রাহানে-কে ওপেনার হিসেবে মাথায় রাখা হোক। ও কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে দলের কাজে লাগবে।
কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহালের পারফরম্যান্সের ফলে আর. অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজার সীমিত ওভারের ভাগ্য নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। আমি একটা কথা বলতে চাই। কোনও সন্দেহ নেই কুলদীপ এবং চহাল বেশ ভাল বল করেছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ভারতীয় পরিবেশে স্পিনাররা ভালই সাহায্য পেয়ে থাকে। উপমহাদেশের বাইরে ওদের পারফরম্যান্স দেখার পরেই কুলদীপদের সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা চলে। এটাও মনে রাখতে হবে, অশ্বিন আর জাডেজা কিন্তু বহুদিনের পরীক্ষিত স্পিনার।
এ ছাড়া আরও একটা ব্যাপার ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে মাথায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে কিন্তু সীমিত ওভারের খেলায় মহম্মদ শামি এবং উমেশ যাদবকে খেলার সুযোগ দিতে হবে। নিঃসন্দেহে যশপ্রীত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমার ভাল বল করে চলেছে। কিন্তু ওদের দু’জনের কেউ চোট পেয়ে গেলে তখন কী হবে? সে জন্যই ওদের বিকল্প পেসার তৈরি রাখতে হবে ভারতকে। শামি এবং উমেশকে তাই ম্যাচ ফিট রাখাটা খুবই জরুরি। আর সেটা হবে ওরা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy