Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ম্যাকাওকে উড়িয়ে এশিয়া কাপে ভারত

বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এ দিন রাওলিন বোর্জেস, সুনীল ছেত্রী ও জেজের গোলে জেতে ভারত। বিপক্ষের লাম সেঙ্গ-এর আত্মঘাতী গোল ব্যবধান বাড়ায়।

বিজয়ী: ম্যাচ জেতার পরে ভারতীয় দলের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি

বিজয়ী: ম্যাচ জেতার পরে ভারতীয় দলের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪২
Share: Save:

বাছাই পর্বে এখনও একজোড়া ম্যাচ বাকি। তবে তার আগেই বুধবার ম্যাকাওকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২০১৯ এশিয়া কাপ মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিল ভারত। এই নিয়ে চতুর্থবার এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলবে ভারত। ১৯৬৪, ১৯৮৪ ও ২০১১-র পরে ২০১৯।

বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এ দিন রাওলিন বোর্জেস, সুনীল ছেত্রী ও জেজের গোলে জেতে ভারত। বিপক্ষের লাম সেঙ্গ-এর আত্মঘাতী গোল ব্যবধান বাড়ায়। ম্যাকাওয়ের নিকোলাস টরাও অবশ্য সমতা ফিরিয়েছিলেন প্রথমার্ধ্বে। বিরতিতে স্কোর ছিল ১-১। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভারত আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং আরও দু’গোল করে। ভারতের চাপ রাখতে না পেরে ম্যাকাও একটি আত্মঘাতী গোলও করে বসে।

গত বার এশিয়া কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার আফসোস এই সাফল্যে কিছুটা হলেও মিটবে বলে জানালেন সুনীল ছেত্রী। যিনি এ দিন জীবনের ৫৫ নম্বর আন্তর্জাতিক গোলটি করেন। জয়ের পরে তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের টুর্নামেন্ট। যেখানে এশিয়ার সেরা দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গতবার এশিয়া কাপে উঠতে না পেরে খুব আফসোস হয়েছিল। তার পর থেকে এই দিনটার স্বপ্ন চোখে নিয়েই খেলছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হল।’’

এ দিন ২৮ মিনিটের মাথায় জেজের পাস থেকে নিখুঁত ডান পায়ের ভলিতে প্রথম গোল জালে জড়ান রাওলিন। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ৬০ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। নিখুঁত ফাইনাল পাসেই বলবন্ত সিংহ অর্ধেক গোল তৈরি করে দেন ছেত্রীকে। এ দিন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে জ্যাকিচন্দের জায়গায় বলবন্তকে নামানোর কৌশলই স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হয়ে যায়। জেজে, বলবন্ত ও ছেত্রীর ত্রিভূজ আক্রমণে ম্যাকাও ডিফেন্স বারবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে শুরু করে। এক সময় নিজেদের এলাকায় দলের সব ফুটবলারকে এনেও ভারতের চাপ রাখতে পারেনি ম্যাকাও।

এই পারফরম্যান্সের জন্য সতীর্থদের পুরো কৃতিত্ব দিয়ে সুনীল বলেন, ‘‘আমরা সবাই খুব পরিশ্রম করেছি এই দিনটা দেখার জন্য। প্রত্যেকেরই কৃতিত্ব রয়েছে এই সাফল্যে। দুর্দান্ত লাগছে। যে ভাবে নিজেদের ফিরিয়ে আনলাম আমরা, তা এক কথায় অনবদ্য। মাত্র চারটে দল যোগ্যটা অর্জন করেছে। তাদের মধ্যে আমরা অন্যতম। এতেই বোঝা যায় আমরা কতটা খেটেছি।’’

এ বার এখনও বাছাই পর্বের দু’টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ২৪ নভেম্বর মায়ানমার ও আগামী বছর ২৭ মার্চ কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে। তবে তার আগেই ‘এ’ গ্রুপে ১২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে থেকে মূলপর্বে উঠে পড়লেন সুনীল ছেত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE