সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহালি। ছবি: এএফপি।
ভারত ৩৭৫/৫ (৫০ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ২০৭/১০ (৪২.৪/৫০ ওভার)
আরও একটা দুরন্ত ইনিংস। আরও একটা শতরান। অধিনায়ক বিরাট কোহালির ব্যাট থেকে আসা সেঞ্চুরি বুঝিয়ে দিল চতুর্থ একদিনের ম্যাচের দখলও নিয়ে নিয়েছেন ভারত। শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁর সঙ্গে হাল ধরেন অধিনায়ক স্বয়ং। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে মাত্র ৪ রান করেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান আর এক ওপেনার শিখর ধবন। এর পরই তিন নম্বরে এসে রোহিতের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কোহালি। যখন থামেন তখন তাঁর নামের পাশে ৯৬ বলে ১৩১ রানের ঝকঝকে ইনিংস লেখা হয়ে গিয়েছে।
প্রথম ওয়ান ডেতে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহালি। কিন্তু পরের দুটো ম্যাচ ভারত জিতলেও কোহালির ব্যাট থেকে রান আসেনি। ৪ ও ৩ রান করেই আউট হতে হয় তাঁকে। চতুর্থ ম্যাচে আবার রানে ফিরে বুঝিয়ে দিলেন সুযোগ পেলেই বাজিমাত করতে তৈরি তিনি। যার ফল আবারও সহজ জয় ভারতের। ৩৭৫ এর লক্ষ্যে নেমে ২০৭ রানেই শেষ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
আরও পড়ুন
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখলেন বিরাট-জাডেজা
জাহিরের কাছে সুইংয়ের পাঠ শিখতে চান মালিঙ্গা
বিরাটের ২৯তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি লেখা হল ১৭টি বাউন্ডারি ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। উল্টোদিকে তখন ব্যাট হাতে ততটাই মারকাটারি রোহিত শর্মা। বিরাট যখন আউট হন ততক্ষণে সেঞ্চুরির প্রায় দরজায় পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত।কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের সেঞ্চুরিটিও সেরে ফেলেন রোহিত। বিরাট ফিরতে ব্যাট করতে নামেন হার্দিক পাণ্ড্য। শ্রীলঙ্কার হয়ে এখনও পর্যন্ত একটি করে উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা ও ফার্নান্দো। টস জিতে বৃহস্পতিবার ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহালি। সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা ভারতীয় ব্যাটিংই প্রমাণ করে দিয়েছে। বড় রানের পথে এগোচ্ছে ভারত।
সেঞ্চুরি করেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন রোহিত শর্মাও। তাঁর রান ৮৮ বলে ১০৪। ১১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে বিরাটের পিছন পিছনই তাঁর ১৩তম শতরানটি সেরে ফেলেন এই ওপেনার। এর পর ম্যাথুসের বলে ডিকওয়েলাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তাঁর সঙ্গেই প্রায় আউট হয়ে ফেরেন হার্দিক পাণ্ড্য। উইকেটটি সেই ম্যাথুসেরই।
রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্যর পরে নেমেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান লোকেশ রাহুল। করেন মাত্র ৭ রান। কিন্তু এই দলে এর পরেও ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। মণীশ পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়ে শেষটা করে যান তিনিই। দু’জনেই খেলেন ৪২টি করে বল। মণীশের রান ৫০। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হল না ধোনির। কারন অবশ্য ওভার শেষ হয়ে যাওয়া। দু’জনেই থাকলেন অপরাজিত। নির্ধারিত ওভারে ভারত থামল ৩৭৫/৫ এ।
বিরাট রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ধস নামল শ্রীলঙ্কা শিবিরে। দুই ওপেনার ডিকওয়েলা ও মুনাওয়েরা ১৪ ও ১১ রান করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। মেন্ডিস, থিরিমানেও ফেরেন ১ ও ১৮ রানে। এর পর শ্রীলঙ্কা ইনিংসের সাময়িক হাল ধরেন ম্যাথুস। তিনি আউট হন ৭০ রানে। সঙ্গে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন সিরিওয়াদনা। ডি সিলভাও ফেরেন ২২ রানে। ৪০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তখনও ২০০ রানের গণ্ডি পেড়তে পারেনি হোম টিম। ৪২.৪ ওভারে ২০৭ রানেই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ভারতের হয়ে দুটো করে উইকেট নেন বুমরাহ, হার্দিক ও কুলদীপ। ১৬৮ রানে চতুর্থ ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy