এমসিজির পিচ। অ্যাসেজের চতুর্থ টেস্টের সময়। ছবি: এএফপি।
এমসিজি টেস্ট নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এ বার সেই এমসিজির পিচ নিয়েও উঠে গেল বিতর্ক। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার পিচকে ‘পুওর’ আখ্যা দিল আইসিসি।
অ্যাসেজের বক্সিং ডে টেস্ট প্রথম থেকেই সরগরম ছিল গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে। রটে গিয়েছিল এই টেস্ট গড়াপেটা হবে। এক সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে উঠে এসেছিল নানা তথ্য। যেখানে নাম পাওয়া গিয়েছিল দুই ভারতীয় বুকির। তাঁর মধ্যে একজন দিল্লির ক্রিকেটারও।
যদিও ম্যাচ শুরু হওয়ার পর গড়াপেটা নিয়ে আর কোনও কথা শোনা যায়নি। কিন্তু ম্যাচ শেষে উঠে এসেছে নতুন বিতর্ক। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও পিচকে খারাপ তকমা দিল আইসিসি। বক্সিং ডে টেস্টে ৫ দিনে মাত্র ২৪ উইকেটই পড়েছিল। ম্যাচের মানও ছিল অত্যন্ত খারাপ। ফল ছিল ড্র। এর পরই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মান নিয়ে শুরু হয় ভাবনা-চিন্তা।
আরও পড়ুন
আইপিএল শুরুর আগেই নতুন চমক বেঙ্গালুরুর
গত নভেম্বরে মহিলা অ্যাসেজের সময় ‘বিলো অ্যাভারেজ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল নর্থ সিডনি ওভালের পিচকে। ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসিকে জবাব দিতে হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। এমসিজির পিচের বাউন্স মধ্যম। পেস মন্থর। ম্যাচ যত এগোয় ততই তা আরও মন্থর হয়। মাদুগালে বলেন, ‘‘পাঁচ দিনে পিচের স্বভাব বদলে যেতে পারে না। কোনও স্বাভাবিক অবনতিও ঘটেনি। এই পিচে ব্যাট আর বলের কোনও লড়াই নেই। এখানে শুধু ব্যাটসম্যান বা বোলাররা সুবিধে পাবে তেমনটা নয়। দু’পক্ষই সুবিধে পাবে।’’
এমসিজির পিচ নিয়ে প্লেয়াররাও অভিযোগ জানিয়েছেন। স্টিভ স্মিথ বলেছিলেন, ‘‘ম্যাচের তিন দিন আগেই দেখে মনে হচ্ছিল পিচ খেলার জন্য তৈরি।’’ ম্যাচের প্রথম দিনের পর ইংল্যান্ড বোলার জেমস অ্যান্ডরসনও এই ম্যাচের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ম্যাচ শেষে স্মিথের মন্তব্য ছিল, এটা কারও জন্যই ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy