হতাশ: উইম্বলডনে সোমবার জাইলস মুলারের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে হারার পরে রাফায়েল নাদাল। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে হারেন তিনি। ছবি: গেটি ইমেজেস
উইম্বলডনের ফাইনালে ফেডেরার-নাদাল দ্বৈরথ এ বার আর হল না। সোমবার রাফায়েল নাদালকে ছিটকে দিয়ে ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ইন্দ্রপতন ঘটিয়ে দিলেন বিশ্বের ২৬ নম্বর জাইলস মুলার।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ে প্রি-কোয়ার্টারেই স্বপ্নভঙ্গ হল স্প্যানিশ মহাতারকার। লুক্সেমবার্গের ১৬ নম্বর বাছাই মুলারের বিরুদ্ধে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হারেন ৩-৬, ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪, ১৩-১৫। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সোমবার নামতে গিয়ে হঠাৎই ছন্দপতন দেখেছিলেন নাদাল-ভক্তরা। গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার আগে তাঁর বরাবরের কুসংস্কার টানেলে লাফানো। সোমবার উইম্বলডনেও সেটাই করতে গিয়ে হঠাৎ দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যায় নাদালের। হাসতে হাসতে পরিস্থিতি সামলে নেন স্প্যানিশ তারকা। তবে অশনি সঙ্কেতটা হয়তো তখনই পেয়ে গিয়েছিলেন নাদাল ভক্তরা।
কোর্টে নেমেও যে ছন্দপতন জারি ছিল। ফরাসি ওপেন থেকে কোনও সেট না হারানো দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সোমবার চোখের নিমেষে প্রথম দু’সেটে পিছিয়ে যান। পরিস্থিতি সামলে পরের দু’সেটে ফিরে আসলেও পঞ্চম সেটে ফের নাদালকে চাপে ফেলে দেন মুলার তাঁকে সার্ভিস ব্রেক করার কোনও সুযোগ না দিয়ে।
আরও পড়ুন: ‘স্যার না থাকলে কবেই অভাবের গ্রামে কাদা মাখা গলিতে হারিয়ে যেতাম!’
এক নম্বর কোর্টে ততক্ষণে ‘রাফা রাফা’ প্রবল চিৎকারের মধ্যে দু’বার ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ফেলেছেন নাদাল। রাফার সমস্যা হচ্ছিল ছ’ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা প্রতিপক্ষের গোলার মতো এস সামলাতে। গোটা ম্যাচে ৩০টা এস মারেন মুলার। নাদালের সেখানে এসের সংখ্যা ২৩। কারও কারও তখন মনে পড়ে যাচ্ছিল এক যুগ আগের কথা। ২০০৫ সালের উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডে চার সেটের লড়াইয়ে নাদালকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মুলার। সোমবারের লড়াইয়ের আগেও হুঙ্কার দিয়েছিলেন লুক্সেমবার্গের সফলতম ‘সার্ভ অ্যান্ড ভলি’ খেলোয়াড়, নাদালকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন।
৩৪ বছর বয়সি প্রথম বার উইম্বলডনের শেষ ষোলোয় উঠলেও তাঁকে দেখে মনে হয়নি ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে চাপে আছেন। গ্র্যান্ড স্ল্যামে যাঁর এর আগে সবচেয়ে ভাল ফল ছিল ২০০৮ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। উল্টে তিনি চাপে ফেলে দেন নাদালকে। গোটা ম্যাচে সার্ভিসের ঝড় তোলার পাশাপাশি ৯৫টা উইনার মেরে। নাদালের উইনারের সংখ্যা ৭৭। এই ম্যাচে হেরে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তৃতীয় বার টানা ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন জেতার নজির গড়ার সুযোগও হারালেন নাদাল।
ম্যাচের পরে মুলার বলেন, ‘‘খুব কঠিন ছিল ম্যাচটা। শেষ দুটো ম্যাচ পয়েন্ট পাওয়ার পরে নিজেকে বলেছিলাম ১০০ শতাংশ দিতে হবে।’’ নাদালদের ম্যাচের পরেই এক নম্বর কোর্টে নামার কথা ছিল নোভাক জকোভিচের। জকোভিচের লড়াই পিছিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy