সেমিফাইনালে হেরে এই হাসি উধাও হয়ে গেল বাংলা দলের। —ফাইল চিত্র।
বাংলাকে ইনিংসে উড়িয়ে ফাইনালে দিল্লি। তিন দিনের ম্যাচের রাশ প্রথম থেকেই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল দিল্লি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। কিন্তু শুরু থেকেই দিল্লির বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো হার স্বীকার করে নেন একের পর এক ব্যাটসম্যাম।
ওপেন করতে এসে অভিমন্যু ঈশ্বরণ মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। আর এক ওপেনার কিছুটা বাংলার ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ৩৬ রানে ফেরেন তিনিও। তিন ও চার নম্বরে নেমে কিছুটা লড়াই দেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। সুদীপের ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত ঋত্বিকের। করেন ৪৭।
এর পর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির ৩০ ও অনুষ্টুপের ৩২ রানের সুবাদে বাংলা সাময়িক লড়াইয়ে ফিরলেও তা দীর্ঘায়িত হয়নি। এর পর আর কেউই বাংলার ইনিংসকে ভরসা দিতে পারেননি। যার ফলে ২৮৬ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস।এক ইনিংস ও ২৬ রানে হেরেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাকে।
আরও পড়ুন
এক ঝলকই দেখা গেল জাডেজার ক্রিকেট বাংলোর
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ইনিংসকে জোড়া সেঞ্চুরি উপহার দেন দুই ওপেনার কুনাল চাণ্ডেলা ও গৌতম গম্ভীর। সেখানেই জয়ের রাস্তা প্রায় তৈরি করেই ফেলেছিলেন দু’জনে। চাণ্ডেলার ব্যাট থেকে আসে ১১৩ রান। গম্ভীর করেন ১২৭। এর পর হিম্মত সিংহর ৬০ রানের দৌলতেই ৩৯৮ রানে গিয়ে থামে দিল্লি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেও সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বাংলা।
মহম্মদ শামির ৬ উইকেট কোনও কাজে লাগেনি। দুটো করে উিকেট নে অশোক দিন্দা ও অমিত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮৬ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ২১ রান। দিল্লির হয়ে চারটি করে উইকেট নেন নভদীপ সাইনি ও কুলবন্ত খেজরোলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy