২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন কুস্তিগীর সতীশ কুমার। ২০০২ এর ঘটনা। হঠাৎ করে বদলে গিয়েছিল জীবনটাই। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। যখন বুঝলেন তখন অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। ততক্ষণে জোড় ধাক্কা খেয়েছে সতীশের কেরিয়ার। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এতদিনে তার ফল পেলেন। নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার দায়ে সতীশ কুমারকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৪তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। নাম বিভ্রাটের কারণেই এমনটা ঘটেছিল।কোনও দোষ ছিল না এই সতীশের।
আরও পড়ুন
সম্মান বাঁচানোর ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার
হরভজনের ভিডিও পোস্টে স্তম্ভিত সোশ্যাল মিডিয়া
পঞ্জাব থেকে ১৪তম এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য সতীশ কুমারকেই নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। একই নামের অন্য একজন কুস্তিগীরের সঙ্গে তাঁকে ভুল করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তাঁকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার জন্য। এক নামের দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য সতীশ কুমারের কেরিয়ারের ক্ষতি হয়েছে। যার দায় পুরোটাই ফেডারেশনের।
আদালতের তরফে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। কারণ যে ভাবে ফেডারেশন একজন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। ক্রীড়া জগতের লোক নন এমনদের দিয়ে চলছে ক্রীড়া ফেডারেশন। কেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদকের জন্য হাহাকার করতে হচ্ছে ভারতকে। এই সব নানা প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
২০০৬ মেলবোর্ন কমনওয়েলথে সোনা জিতেছিলেন সতীশ। লস অ্যাঞ্জেলেসে বিশ্ব পুলিশ গেমসেও সোনা পেয়েছিলেন তিনি। এ দিন তাঁর সপক্ষেই রায় দিল আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, যে সব কর্তারা সতীশের কেরিয়ারের ক্ষতি করেছেন তাঁদেরও বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতরকে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হোক যাতে আর কোনও ক্রীড়াবিদের এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy