গুরু: আমস্টারডামে কার্স্টেনের সঙ্গে সুরেশ রায়না। ছবি: টুইটার
সঙ্গী গুরু গ্যারি কার্স্টেন। সঙ্গে আধুনিক ফিটনেস প্যাকেজ। সুরেশ রায়নার প্রত্যাবর্তনের লড়াই এখন চলছে য়োহান ক্রুয়েফ, রুদ খুলিট, মার্কো ফান বাস্তেনদের দেশে।
ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ টেস্ট, ওয়ান ডে সেই ২০১৫-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন স্ট্যান্ড বাই তালিকায়। রায়না নিজেকে বিরাট কোহালির দলের যোগ্য করে তুলতে চান ফিটনেসের চূড়ায় পৌঁছে। মঙ্গলবার আমস্টারডাম থেকে ফোনে বললেন, ‘‘এখন তো ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার একটা শর্ত হল ফিটনেস। তাই নিজেকে চরম ফিটনেসের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। এখানে এসে একটা ফিটনেস প্যাকেজ নিয়েছি। এটা শেষ করতে পারলে সেই উদ্দেশ্য সফল হবে।’’
আমস্টারডামে কর্মরত তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। সেই কারণেই গিয়েছেন তিনিও। তবে ছুটি কাটানোর সঙ্গে ক্রিকেট চর্চাও চলছে। ওখানে পৌঁছে শোনেন গ্যারি কার্স্টেন আসছেন ডাচ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কয়েক দিন কাজ করতে। বলছিলেন, ‘‘গ্যারির সঙ্গে সোনার সময় কাটিয়েছি ২০১১ ও তার আগে। ওঁর পরামর্শে ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতিও করেছি। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগটা আর নষ্ট করলাম না।’’ যোগ করলেন, ‘‘কয়েকটা শট, কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলাম। উনি আমাকে খুব ভাল বোঝেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলে যেমন উপকার পেলাম, তেমনই আত্মবিশ্বাসও বাড়ল অনেক। আমার ফিটনেস প্রোগ্রামের কথা শুনেও খুব খুশি হলেন। গ্যারি বলেছেন, একেবারে ঠিক পথে এগোচ্ছো।’’
আরও পড়ুন: ভিসা সমস্যায় আটকে ভারতের শাটলাররা
গত বিশ্বকাপের সেই পার্টনারশিপ অনেকেই ভোলেননি। অকল্যান্ডে জিম্বাবোয়ের তোলা ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ৯২-৪। ক্রিজে এমএস ধোনি ও রায়না। ধোনি করলেন ৭৬ বলে ৮৫ রান। রায়না ১০৪ বলে ১১০। ১৯৬ রানের সেই পার্টনারশিপই সে দিন খাদের ধার থেকে তুলে এনেছিল ভারতকে। সেই ধোনি এখন চাপে রয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অ্যান্টিগায় এক দিনের ম্যাচে সবচেয়ে মন্থর ইনিংস খেলে নিন্দুকদের তোপের মুখে। তাঁর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ফিনিশার রায়না এখনও তাঁর পাশেই। বললেন, ‘‘ফিনিশার ধোনিকে এত কাছ থেকে দেখেছি যে, মাহি ভাই ৪৭-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে শুনে অবাক হয়ে যাই। মনে আছে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে আমরা দুর্দান্ত বোঝাপড়া দেখিয়েছিলাম। ফিনিশারের সবচেয়ে বড় সম্বল মানসিক শক্তি। আমার মনে হচ্ছে ওর এই জায়গাটাতে সমস্যা হচ্ছে।’’ তার পরেই যোগ করছেন, ‘‘তবে এত দূর থেকে সেটা বোঝা কঠিন। তা ছাড়া শেষ দিকে যখন ওভার প্রতি ১০-১১ রান তুলতে হয়, তখন উল্টো দিকেও একজন পাকাপোক্ত ফিনিশার দরকার। সেই সমস্যাও হতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস ও আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসবে।’’
এই জায়গাতেই কি ফের নিজেকে দেখতে চাইছেন সুরেশ রায়না? এ বার হেসে বললেন, ‘‘এর উত্তর তো নির্বাচকরা দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy