নিশ্চিন্ত: যুবভারতী থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ব্রাজিল-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের টিকিট হাতে পাওয়ার পরে। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল। মাত্র বারো ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ লাখ ফুটবলপ্রেমী অনলাইনে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের টিকিট কেনার জন্য আবেদন করেছিলেন। পেলেন মাত্র পঁয়ত্রিশ হাজার। মঙ্গলবার যুবভারতীর কাউন্টার থেকে এঁদের সত্তর শতাংশ টিকিট নিয়ে গিয়েছেন বলে ফিফা কর্তাদের দাবি। বাকিদের আজ বুধবার সকালে মিলনমেলা থেকে টিকিট দেওয়া হবে।
ফিফা কর্তা জয় ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘পাঁচ লাখকে তো আর টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের বিক্রির জন্য যত টিকিট ছিল, তার সবটাই আমরা দিয়েছি। অনলাইনে টিকিট না দিলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত।’’
ফিফার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘‘আর কোনও টিকিট বিক্রি হবে না।’’ যুবভারতীতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য প্রায় সাড়ে ছেষট্টি হাজার আসন আছে। বাকি টিকিট সবই কমপ্লিমেন্টারি। যা স্কুল ছাত্র-ছাত্রী, ফুটবল ফেডারেশন, বিভিন্ন ক্লাব, রাজ্য সরকার বা স্পনসর সংস্থার জন্য বরাদ্দ। সেই টিকিট ছাপার কাজ মঙ্গলবার বেশি রাতে শেষ হবে। সেই টিকিট কীভাবে বিতরণ হবে, তা নিয়ে চিন্তিত সংগঠকরা।
ভাবা গিয়েছিল টিকিট বিক্রি নিয়ে ঝামেলা হবে। ফিফা তৎপরতা নিয়ে তা সামাল দিলেও ঝামেলা পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। মঙ্গলবার ভোর থেকেই হাতে একশো টাকা নিয়ে যুবভারতীর তেরোটি কাউন্টারে দাঁড়িয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের ধারণা ছিল, লাইনে দাঁড়ালেই টিকিট মিলবে। তাঁদের জানানো হয়, অনলাইনে বুকিং করা কাগজ নিয়ে এলেই টিকিট মিলবে। তা নিয়ে ঝামেলা শুরু। পুলিশের সঙ্গে তর্কতর্কিও হয় কয়েক জায়গায়।
আরও পড়ুন: তিকি তাকা বনাম শক্তির লড়াই মুম্বইতে
সোমবার গভীর রাতে বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দুই টিম ব্রাজিল এবং ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের সঙ্গেই নিয়ে আসা হয়েছিল টিকিটের মূল অংশও। পরে মুম্বই, দিল্লি থেকেও আনা হয় কিছু। সেই অংশে যুবভারতীর গেটের নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের। ফলে ইচ্ছে মতো গ্যালারিতে বসার সুযোগ নেই।
বুধবারের হাইভোল্টেজ ম্যাচকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ও নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। প্রায় ৩৮০০ পুলিশ মাঠের ভিতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ও নজরদারির কাজ করবেন। ব্রাজিল ও জার্মানি ম্যাচে শেষ গোলটির পর পাওলিনহোদের দিকে দর্শকদের একটি অংশ জলের পাউচ ছুড়েছিলেন আনন্দে। যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy