Advertisement
০৭ মে ২০২৪
সিরিজ জিততে ভারত তাকিয়ে পোর্ট এলিজাবেথের দিকে

জেতার যোগ্য ছিলাম না, মত কোহালির

ওয়ান ডে সিরিজে ৩-০ এগিয়ে জো’বার্গ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। যেখানে জিতলেই প্রথম বার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ান ডে সিরিজ জিতে ফিরতে পারত ভারত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

এক দিকে সুযোগ ফস্কানোর খেসারত। অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মরিয়া লড়াই। এই দুইয়ের যোগফলই জোহানেসবার্গে চতুর্থ ওয়ান ডে-তে তাঁদের হারিয়ে দিল বলে মনে করেন বিরাট কোহালি।

ওয়ান ডে সিরিজে ৩-০ এগিয়ে জো’বার্গ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। যেখানে জিতলেই প্রথম বার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ান ডে সিরিজ জিতে ফিরতে পারত ভারত। কিন্তু ডেভিড মিলার-হেনরিক ক্লাসেনের জুটি সেটা হতে দেয়নি। ম্যাচের পরে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমার মনে হয়, ম্যাচের শেষ দিকে ওরা দারুণ মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই ওরা ম্যাচ জিতেছে।’’

ভারতের সামনে আবার সিরিজ জেতার সুযোগ আসবে মঙ্গলবার, পোর্ট এলিজাবেথে। তার আগে কোহালি বলেছেন, ‘‘আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট ভাল দল। আমরা এও জানতাম, দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিক ভাল খেলবে। লড়াইয়ে ফিরে আসবে। সিরিজ জিততে গেলে আমাদের শেষ দু’টো ম্যাচের মধ্যে একটাতে জিততেই হবে। এবং সে জন্য আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। যার জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি।’’

টস জিতে শনিবার প্রথমে ব্যাট নিয়েছিল ভারত। শিখর ধবন এবং কোহালির জুটি ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছেও দেয়। কিন্তু তার পরেই খারাপ আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। ফের ম্যাচ শুরু হওয়ার ঠিক পরেই আউট হয়ে যান ধবন। শুধু ধবনই নন, বেশ কয়েকটা উইকেট পর পর পড়ে যাওয়ার ফলে ভারতের রান তোলার গতিও কমে যায়। ওই সময় ১৬.৩ ওভারে কোহালির দল তুলেছিল ৮৯ রান। যা নিয়ে ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘‘প্রথম বার ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে যখন খেলা শুরু হয়, পিচ আগের মতো ছিল না। ব্রেকের পরে ধবন এবং জিঙ্কস (অজিঙ্ক রাহানে) যখন ব্যাট করতে নামে, তখন ওই পিচে রান করাটা একটু সমস্যা হয় দাঁড়ায়। ব্রেকের পরে ব্যাট করাটা অত সোজা ছিল না।’’

হুঙ্কার: ছয় মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জেতানোর পরে ফেলুকয়েও। শনিবার। যে ম্যাচ জিতে সিরিজে টিকে থাকলেন এ বি ডিভিলিয়ার্স-রা। —ফাইল চিত্র।

দ্বিতীয় বার বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পরে যখন খেলা শুরু হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ২০২ রান। কোহালি বলছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ওভার কমে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সুবিধেই হয়ে যায়। পরিস্থিতি যে রকমই থাকুক না কেন, ওদের সামনে মারা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না। ম্যাচটা পুরো টি-টোয়েন্টির মতো হয়ে যায়। পুরো ৫০ ওভারের খেলা হলে ব্যাপারটা অন্য রকমও হতে পারত।’’ আউটফিল্ড ভিজে থাকায় বল ভিজে গিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না, জানতে চাওয়ায় কোহালি বলেন, ‘‘একটু হয়তো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায়নি।’’

তবে ভারতীয় বোলাররা একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট ফেলে দেয় ১০২ রানে। কিন্তু ওই সময় যুজবেন্দ্র চহালের একই ওভারে দু’বার জীবন পান মিলার। প্রথমে মিলারের ক্যাচ ডিপ স্কোয়ার লেগে ফেলে দেন শ্রেয়স আইয়ার। দু’বল পরে চহালের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান মিলার (তখন ৭ রানে)। কিন্তু দেখা যায়, চহাল নো বল করেছেন। ওর পরে মিলার (২৮ বলে ৩৯) এবং ক্লাসেন (২৭ বলে ৪৩ ন.আ.) মিলে ম্যাচ বার করে দেন। শেষ দিকে এসে ফেলুকওয়ে (৫ বলে ২৩ ন.আ.) পিটিয়ে দেন ভারতীয় রিস্টস্পিনারদের।

যা নিয়ে কোহালি বলছেন, ‘‘আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এই ধরনের ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতেই হয়। আমরা জেতার যোগ্য ছিলাম না।’’ চহালের নো বল নিয়ে কোহালির বক্তব্য, ‘‘নো বল একটা দলের পক্ষে খারাপ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এর জন্য ক্রিকেটারদের সব সময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না। ওরাও মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মাঝে মাঝে সবারই ভুল হয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Virat Kohli South Africa vs India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE