Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সূর্যের হুঁশিয়ারি, তারুণ্যে হোঁচট দলেই

ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছেন অনেকে। মাঝেমধ্যেই শাসক দলে ভিড়ছেন কেউ কেউ। অনেককে আবার ব্যবস্থা নিয়ে নিজেরাই বহিষ্কার করেছে সিপিএম। তবু তার পরেও দলকে যুগোপযোগী ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আরও কাজ বাকি আছে বলে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেই মেনে নিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

প্রতীক হাতে মিছিলে। শুভাশিস ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

প্রতীক হাতে মিছিলে। শুভাশিস ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৯
Share: Save:

ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছেন অনেকে। মাঝেমধ্যেই শাসক দলে ভিড়ছেন কেউ কেউ। অনেককে আবার ব্যবস্থা নিয়ে নিজেরাই বহিষ্কার করেছে সিপিএম। তবু তার পরেও দলকে যুগোপযোগী ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আরও কাজ বাকি আছে বলে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেই মেনে নিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

সদ্য মাকে হারানো সূর্যবাবু ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন, ‘‘আমাদের দলে এখনও কেউ কেউ আছেন, যাঁরা দলে না থাকলেই ভাল! আবার দলের বাইরে অনেকে আছেন, যাঁদের দলের সঙ্গে রাখতে হবে। তাঁদের কাছে যেতে হবে। তাঁদের কাছে আনতে হবে।’’ রাজ্য সম্পাদকের আরও মন্তব্য, ‘‘মেহনতি মানুষ, মহিলা, আদিবাসী এবং অবশ্যই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমাদের দল। তেমন ভাবেই দল গড়তে হবে।’’ দলের সাংগঠনিক প্লেনাম শুরুর প্রাক্কালে এই বক্তব্যের মাধ্যমে সূর্যবাবু আসলে ‘বৃদ্ধতন্ত্রে’র বিরুদ্ধেই বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে সিপিএমের বড় অংশের ধারণা। সেই সঙ্গে নানা কারণে নিষ্ক্রিয় বা ‘অনভিপ্রেত কার্যকলাপে’র সঙ্গে যুক্ত একাংশকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে চেয়েছেন।

তবে সূর্যবাবু তারুণ্যের পক্ষে বার্তা দিলেও দলের মধ্যে খানিকটা আপসের পথেই তাঁদের যেতে হবে বলে ইঙ্গিত মিলছে। কারণ এ দিনই সাংগঠনিক প্রস্তাব পেশ হয়েছে, তাতে দলের সদস্যপদের ক্ষেত্রে ২৫% ‘কোটা’ বাঁধতে চাওয়া হয়েছে মহিলাদের জন্য। আর তরুণদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্যমাত্রা না দিয়ে বলা হয়েছে, দলের কর্মসূচির অভিমুখ পরিবর্তন করে এবং সংগঠনে যত বেশি সংখ্যায় তরুণ-তরুণীদের টেনে আনার জন্যই ঝাঁপাতে হবে।

সিপিএম সূত্রের খবর, সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে দলের পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাট বলেছেন, নানা রাজ্য থেকে প্রশ্ন এসেছিল, কমিটিতে মহিলাদের সংখ্যা বেঁধে দিলে কেন তরুণদেরও কোটা হবে না? কিন্তু কারাটের বক্তব্য, মহিলা-তরুণদের বিষয়টি এক করে দেখলে চলবে না। এমন কোনও নীতি নেওয়া চলবে না, যাতে ভবিষ্যতে কমিটি গড়াই সমস্যা হবে! অগত্যা প্রস্তাবে যত বেশি সম্ভব তরুণ মুখকে জায়গা দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE