বাসে শিলাদিত্য চৌধুরী, অম্বিকেশ মহাপাত্র এবং মন্দাক্রান্তা সেন (বাঁ দিক থেকে)। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের শাসনকালে তাঁরা নানা ভাবে অত্যাচারিত, নিগৃহীত হয়েছেন। প্রতিবাদে আদালত বা মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। এ বার রাজ্যের শেষ দু’দফার ভোট পর্ব অবাধ ও নিরপেক্ষ করার দাবিতে ওই অত্যাচারিত মানুষজন পথে নামছেন।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র কাণ্ডে পুলিশের হাতে নাকাল হওয়া অম্বিকেশ মহাপাত্র ও সুব্রত সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে শিলাদিত্য চৌধুরীও। সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মাওবাদী তকমা সেঁটে ফৌজদারি মামলায় নাস্তানাবুদ করা হয়েছিল শিলাদিত্যকে। এঁদের সঙ্গেই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণের দাবিতে পথে নামছেন কামদুনি প্রতিবাদ মঞ্চের টুম্পা কয়াল, রায়গঞ্জ কলেজের নিগৃহীত অধ্যক্ষ দিলীপ সরকার, পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হাওড়ায় নিহত পরিবেশকর্মী তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমাদেবীও।
অম্বিকেশবাবুর নেতৃত্বে এক দল প্রতিনিধি রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) সুনীল গুপ্তের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে রাজ্যের শেষ দু’দফার ভোটে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দাবি জানান। ৭ মে, বুধবার এবং ১২ মে, সোমবার ওই ভোট নেওয়ার কথা। এ দিন সিইও-কে স্মারকলিপি দেওয়ার পরে অম্বিকেশবাবু বলেন, “তৃতীয় দফার ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আমরা হতাশ। অবাধ ভোটের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কমিশন ব্যর্থ। তৃৃতীয় দফার ভোটের ছবির পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, মূলত তা সুনিশ্চিত করতেই স্মারকপত্র দিয়েছি আমরা। আমাদের দাবি, চতুর্থ ও পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।” অম্বিকেশবাবু জানান, ৯ মে সকালে যাদবপুরে ‘জননী যন্ত্রণা’ নামে একটি সংগঠনের তরফে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের দাবিতে মিছিল হবে। তাতে যোগ দেবেন তৃণমূল আমলে নানা ভাবে অত্যাচারিত রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মানুষজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy