ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার দু’টি নামী স্কুলে খুদে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের কথা সামনে এসেছে। এ বার হগলি ও উত্তর দিনাজপুরের দু’টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলেও একই অভিযোগ উঠল। দু’টি স্কুলেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে তার স্কুলের শিক্ষক দেবব্রত বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের ডালিমগাঁও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরজিৎ ঘোষ নামে এক শিক্ষককে। দু’জনের বিরুদ্ধেই পকসোতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকে বাঁশবেড়িয়ার ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন দেবব্রত। নিগৃহীতা মেয়েটির বাবা জানান, সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করছিল সে। মঙ্গলবার স্কুলেও যেতে চাইছিল না। তখনই সে জানায়, তাকে দেবব্রত নিগ্রহ করেছেন। এর পরই মেয়েটির পরিবারের তরফে দেবব্রতর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিড়ের মধ্যে বাইরের ওঁরা কারা
মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় অভিভাবকদের বিক্ষোভ। স্থানীয়রা স্কুলে ঢুকে দেবব্রতবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ছাত্রীর পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। দেবব্রতবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, ‘‘একটা মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল।’’
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ডালিমগাঁও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে সুরজিৎ ঘোষ নামে এক শিক্ষকেরও দাবি, তিনি পড়ুয়াদের সন্তানের মতো দেখেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির তিন চার জন ছাত্রীকে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়েছেন সুরজিৎ। তারপরে পড়া বোঝানোর নামে তাদের গায়েও তিনি হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কালিয়াগঞ্জের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রান্তিক চক্রবর্তী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। পরে প্রান্তিকবাবুই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেফতার করে।
কালিয়াগঞ্জের স্কুলের এক অভিভাবক সুনীল সরকারের দাবি, ‘‘কলকাতার একটি স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসে শনিবার। সে দিনই এই স্কুলেও একই কাণ্ড হয় বলে কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছে।’’ সোমবার সে কথা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রীলেখা ঘোষকে জানান নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিভাবক। শ্রীলেখাদেবী সে কথা সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তার পরের দিনই তদন্ত শুরু হয়েছে। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা সুরজিৎবাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy