পার্থ চট্টোপাধ্যায়
দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে নির্ধারিত আসনের থেকে অনেক বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে বলে মেনে নিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে এটা ‘‘দলের সমস্যা।’’
কী ভাবে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে, তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও তার উপায় খুঁজছেন। পার্থবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘প্রার্থী একজনই থাকবে। কোনও দলাদলি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে মাথাচাড়া দিতে দেব না।’’ তবে যে ভাবে তৃণমূলের বাড়তি প্রার্থীর সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজারে পৌঁছেছে, তাতে সব ক্ষেত্রে উপরতলার নির্দেশ ‘কাজ’ করবে কি না, সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
স্ক্রুটিনির পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট ৪৮,৬৫০টি আসনে তৃণমূল প্রায় হাজার দশেক বেশি প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ৯ হাজার ২১৭টি আসনের জন্য তাদের প্রায় হাজার চারেক বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। আর ৮২৫টি জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের দাবিদার ৯৮২জন। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলায় তিনটি স্তরেই তৃণমূলের অতিরিক্ত প্রার্থী মনোনয়ন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে হস্তক্ষেপ হবে না, দাবি করলেন রাজনাথ
এই বিপুল সংখ্যক ‘বাড়তি’ প্রার্থী দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম বলেই স্বীকার করে পার্থবাবু বলেছেন, ‘‘দল সাংগঠনিক ভাবে অনেক বড় হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়।’’ সমস্যা মেটাতে দলের মধ্যে এখন ‘বোঝানোর’ পালা চলছে। ভোট প্রক্রিয়া ফের শুরু হলে দলের প্রতীক-বণ্টনের পরেও অতিরিক্তদের নিয়ে সমস্যা আদৌ মিটবে কি না, তা নিয়ে আতান্তরে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কেননা, সব দিক থেকে চেষ্টার পরেও বাড়তি প্রার্থীর একটা অংশ গোঁজ প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারে বলে দলের আশঙ্কা। এর ফলে দলের প্রার্থীদের ভোট কাটাকাটি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তারই সঙ্গে গোষ্ঠী সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে এখন তৃণমূল নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy