পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করল শাসক দল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘প্ররোচনা সত্ত্বেও পুলিশ অসীম ধৈর্যের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সক্রিয়তা দেখিয়েছে। কমিশনও ভাল কাজ করেছে।’’ সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ‘রক্তাক্ত হয়েও তৃণমূল কর্মীরা সহনশীলতার উদাহরণ’ স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক দফার ভোটে সোমবার দিনভর হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কমিশন ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, এই আশ্বাসেই এক দফার ভোটে ছাড়পত্র দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কমিশন কোনও অশান্তি ঠেকাতেই পারেনি, এই অভিযোগে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে বামেরা। কংগ্রেস দাবি করেছে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি। আর বিজেপি বলেছে, পরিস্থিতি ৩৫৬ ধারা জারি করার মতোই। কিন্তু ভোটে কিছু ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ঘটেছে বলে দাবি করে শাসক দলের তরফে পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘শান্তি চাই বলেই বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের মিলিত আক্রমণের সামনে মাথা ঠান্ডা রেখেছেন তৃণমূল কর্মীরা। রক্তাক্ত হয়েছেন কিন্তু দলের নির্দেশ মেনে তাঁরা সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।’’
ভোটের নামে ‘প্রহসন ও গণতন্ত্র হত্যা’র প্রতিবাদে এ দিন এন্টালি থেকে মিছিল করে কমিশনের দফতরের সামনে গিয়ে ধর্না-বিক্ষোভ করে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘হামলা হয়েছে কিন্তু প্রতিরোধও হয়েছে। কারা লড়াইয়ে আছে, বোঝা যাচ্ছে।’’ কমিশনার তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি বলে উনি দেখা করলেন না। আদালতেই ওঁকে জবাব দিতে হবে!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘বাংলা জুড়ে যে প্রহসন হয়েছে, তার মূল চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আগের দিন তিনি বললেন সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রশাসন সতর্ক থাকবে আর আজ তৃণমূলের বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ সক্রিয় ভাবে বুথদখল করল।’’ সাধারণ মানুষের রক্তপাত বন্ধের দাবিতে নিজেরা রক্ত দিতে চেয়ে মিছিল করেন মধ্য কলকাতার কংগ্রেস কর্মীরা।
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে ভোটের নামে তাণ্ডবের বিবরণ দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্যেরা। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে এক দিনে ১৩ জনের মৃত্যুর পরে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। রাজ্যপাল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। আজ সারা দিনে ২১ জনের মৃত্যুর পর আমরাও রাজ্যপালের কাছেই এলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy