Advertisement
০৩ মে ২০২৪

দলে নিয়ন্ত্রণ চাই, পার্থকে সিদ্দিকুল্লা

শাসক দলের বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে পার্থবাবুর কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুল্লা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৯
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী এবং জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শাসক দলের বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে পার্থবাবুর কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুল্লা। তৃণমূলের মহাসচিবের কাছে তাঁর অনুরোধ, এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পার্থবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই তাঁর অভিযোগ শুনে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরে যেন সিদ্দিকুল্লা ‘বিদ্রোহে’র পথ থেকে সরে আসেন। সরকারি গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও যেন প্রত্যাহার করে নেন। বৈঠকে বরফ অনেকটা গলেছে বলেই ইঙ্গিত।

প্রথমে ফোনে কথা বলার পরে সোমবার বিকেলে সিদ্দিকুল্লাকে বেহালায় আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন পার্থবাবু। সরকারি নয়, নিজের গাড়িতেই বৈঠক করতে গিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। পরে তিনি বলেন, ‘‘মনোনয়নের সময়ে শাসক দলের বাহিনী কেন দাপিয়ে বেড়াবে? এদের এখনই নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। আর যে সব কাণ্ড ঘটছে, তাতে বিজেপির জমি শক্ত হচ্ছে— এই কথাও পরিষ্কার করে বলেছি পার্থবাবুকে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘প্রতিবাদ করার জন্য জেলায় আমরা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর গাড়ি আটকেছিলাম। এ বার কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের আমরা সংযত রেখেছি। মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা আছে। তিনি যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’’ পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে আগেও কথা হয়েছে। আবার কথা বলেছি। ওঁর বক্তব্য, অভিযোগ সবই শুনেছি।’’

আরও পড়ুন: ‘ক্ষোভে’র চাপে তৃণমূল নেতৃত্ব

ফুরফুরা শরিফের ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গেও এ দিন কথা বলেছেন পার্থবাবু। ত্বহা অবশ্য সিদ্দিকুল্লার মতো ‘বিদ্রোহ’ করেননি। তবে তৃণমূলে থাকাকালীন মুকুল রায়ের সঙ্গে ত্বহার যোগাযোগ ছিল ভাল। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে সেই ত্বহাকে ডেকে শাসক দলের মহাসচিবের কথা বলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

জমিয়তের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাননোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পার্থবাবুর সঙ্গে সিদ্দিকুল্লার এ দিনের বৈঠকের পরে ভবিষ্যতে ভেবেচিন্তেই এগোতে চাইছেন জমিয়তে নেতৃত্ব। সিদ্দিকুল্লার কথায়, ‘‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জমিয়তের সব জেলার নেতা ও কর্মীদের বলা হচ্ছে, যতই ক্ষোভ থাকুক, রাজ্য নেতৃত্বকে না জানিয়ে কেউ যেন কোথাও রাস্তায় না নামেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE