Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মুকুলকে আইনি চিঠি অভিষেকের

মুকুল রায়কে সোমবার আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষ‌েক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ নভেম্বর ধর্মতলার সমাবেশে ‘বিশ্ব বাংলা’কে অভিষেকের কোম্পানি বলে উল্লেখ করেছিলেন মুকুলবাবু। সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৮
Share: Save:

মুকুল রায়কে সোমবার আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষ‌েক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ নভেম্বর ধর্মতলার সমাবেশে ‘বিশ্ব বাংলা’কে অভিষেকের কোম্পানি বলে উল্লেখ করেছিলেন মুকুলবাবু। সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। তাতে আরও বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করবেন অভিষেক।

জবাবে এ দিন মুকুল রায়ের আইনজীবী সোম মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার মক্কেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর নোটিস পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে অনড়। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওই নোটিসের জবাব দেওয়া হবে।’’

তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানান, নোটিসের মূল বক্তব্য, ‘বিশ্ব বাংলা’ ও ‘জাগো বাংলা’ নামে কোনও কোম্পানির মালিক নন তাঁর মক্কেল। তিনি ওই দুই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারও নন। ‘বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড’ কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এক্সপোর্ট প্রোমোশন সোসাইটি, রাজীব সিংহ এবং মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা হয়েছে, ওই কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম রাজীব সিংহ, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, সুবলচন্দ্র পাঁজা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া ও মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুকুলবাবুর মন্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অভিষেকের পক্ষে মানহানিকর। অভিষেক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাধ্যমে জনগণের টাকা অপব্যবহার করেছেন বলে মুকুলবাবু আরও যে মন্তব্য করেছেন, সেই মন্তব্যও প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে ওই আইনি নোটিসে।

আইনজীবী জানান, কোনও অনুসন্ধান না করে, কোনও তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই না করে রানি রাসমণির অ্যাভিনিউয়ের জনসভায় জাল নথি দেখিয়ে সচেতন ভাবে অভিষেকের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছেন মুকুলবাবু। তিনি ভাল ভাবেই জানতেন, প্রকাশ্যে ওই মিথ্যা বিবৃতি দিলে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদান করা সহজ হবে।

মুকুল শিবিরের দাবি, নিজের বক্তব্যে মুকুল রায় কোথাও বলেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নিয়েছেন। তবে তাঁর আইনজীবী সোম মণ্ডলের দাবি, ‘‘এটা খুব সহজেই বোঝা যায় যে কোথাও এই লোগো ব্যবহার হলে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থেকেই যায়।’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো নোটিসে যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মুকুল শিবির জানিয়েছে, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আজ মুকুল রায় দাবি করেন মা মাটি মানুষ-এই শব্দবন্ধটিরও ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি করা হয়েছে গত বছরের ১২ অগস্ট। বিশ্ব বাংলার মতোই এ ক্ষেত্রেও ওই শব্দবন্ধটি রেজিস্ট্রি হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE