Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সেরা বাণিজ্য-বন্ধু শিরোপা রাজ্যের, বড় প্রাপ্তি

চলতি বছরে দেশের সেরা ‘বাণিজ্য-বন্ধু’ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গ। প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন (ডিআইপিপি) বাণিজ্য বন্ধু হিসাবে রাজ্যগুলির র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share: Save:

আসন্ন শিল্প সম্মেলনের মুখে বড় প্রাপ্তি রাজ্যের।

চলতি বছরে দেশের সেরা ‘বাণিজ্য-বন্ধু’ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গ। প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন (ডিআইপিপি) বাণিজ্য বন্ধু হিসাবে রাজ্যগুলির র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ‘বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে ওই র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১৭ সালের তালিকা শুক্রবারই প্রকাশ হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং তৃতীয় স্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত।

আগামী ১৬-১৭ জানুয়ারি রাজ্যে বসছে শিল্প সম্মেলনের আসর। ঠিক তার আগে এই তকমা মেলায় খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘এই ঘটনা রাজ্যে বিনিয়োগ টানার প্রশ্নে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। শিল্প বান্ধব নয় বলে এক শ্রেণির মানুষ সর্বত্র রাজ্যের নিন্দামন্দ করে বেড়ান। তাঁদের জন্য এটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতো ঘটনা।’’

প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বিভিন্ন দেশের মধ্যে কারা বাণিজ্য বান্ধব, প্রতি বছর তার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের মধ্যেও তা শুরু করেছিলেন। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তদারকি এবং বাছাই করা শর্তের ভিত্তিতেই এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। ২০১৪ সালের প্রথম প্রকাশিত তালিকায় ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছিল ২২ নম্বরে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ এর শর্ত পূরণের জন্য বরিষ্ঠ আমলাদের নিয়ে বিশেষ টিম তৈরি করে দিয়েছিলেন। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই কমিটি প্রতি মাসে বৈঠক করে রাজ্যের লগ্নি সহায়ক পরিবেশ তৈরির কাজে হাত দেয়।

সাল র‌্যাঙ্কিং শর্তাবলি

• ২০১৭ ০১ ৪০৫

• ২০১৬ ১৫ ৩৪০

• ২০১৫ ১১ ৯৮

এই কমিটির এক সদস্য জানাচ্ছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের উপদেষ্টা এবং ডিআইপিপি প্রতি বছরই সংস্কারের শর্তাবলি বদলে দেয়। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রাজ্যকেও আইন-কানুন বদলাতে হয়। ২০১৫ সালে ৯৮টি সংস্কার-শর্তের ভিত্তিতে যে র‌্যাঙ্কিং‌ হয়েছিল তাতে রাজ্য ছিল ১১ নম্বরে। কিন্তু ২০১৬-এ ৩৪০টি শর্তের উপর নতুন করে মূল্যায়ন শুরু হয়। তাতে আবার র‌্যাঙ্কিং ১৫ নম্বরে নেমে যায়।

আরও পড়ুন: চেলমেশ্বরের বাড়িতে রাজা

২০১৭ সালে বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান শুরু হয় ৪০৫টি শর্তপূরণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে। মূলত ১২টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য এই শর্তগুলি রাখা হয়েছিল। সেগুলির কয়েকটি হল, শ্রমিক আইন সংস্কার, এক জানালা পদ্ধতির ই-প্রয়োগ, শিল্পের জন্য পরিকাঠামো যুক্ত জমি, পরিবেশ ছাড়পত্র, পুর-পঞ্চায়েত-বিভাগীয় ছাড়পত্র, তথ্য পাওয়ার স্বচ্ছতা, নির্মাণের ছাড়পত্র ইত্যাদি।

রাজ্য মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রে সেরা সংস্কার করায় প্রথম স্থান পেয়েছে। সেগুলি হল, লগ্নি সংক্রান্ত তথ্য সহজে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাওয়া, এক জানলা পদ্ধতির ই-প্রয়োগ, শিল্পের উপযুক্ত জমি পাওয়া, সহজেই নির্মাণ ছাড়পত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র পাওয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE