পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তিন দফায় পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে রাজ্যে। শনিবার ঘোষণা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ।
আগামী ১ মে প্রথম দফার ভোট। পরের দু’ দফার ভোট হবে ৩ এবং ৫ মে। তিন দিনই ভোট শুরু হবে সকাল ৭টায়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা ৮ মে।
১ মে (মঙ্গলবার) প্রথম দফায় ভোট হবে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া— এই ১২ জেলায়। প্রয়োজনে পুনর্নির্বাচন ৩ মে।
৩ মে (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত ভোট হবে দুটি জেলায়। মুর্শিদাবাদে এবং বীরভূমে। এই দফায় দরকার হলে পুনর্নির্বাচন হবে ৫ মে।
৫ মে (শনিবার) তৃতীয় দফার ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। প্রয়োজনে পুনর্নির্বাচন হবে ৭ মে।
আরও পড়ুন: পাপ করেছিলাম ক্ষমা চাইছি, বললেন মুকুল
কলকাতা, দার্জিলিং এবং কালিম্পং বাদে রাজ্যে বাকি ২০টি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৪৮ হাজার ৬৫৬। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯ হাজার ২১৭। জেলা পরিষদে মোট আসন ৮২৫।
এ দিন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ২ এপ্রিল। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ এপ্রিল।
রাজ্যের ২০ জেলায় আজ থেকেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি করা হল বলে জানিয়েছেন অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তাহানির আশঙ্কা না থাকলে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী পাইলট কার ব্যবহার করতে পারবেন না। এই বিধি কার্যকর হবে গোটা রাজ্যের জন্য।’’
সাধারণ ভাবে ভোট করানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও এ বার পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব কাদের হাতে থাকবে, সে প্রসঙ্গে এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিষয়টি নিয়েই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে।
গ্র্যাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy