ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিল সিপিএম।
দু’দিন আগেই দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করেছিল। যে হেতু তিনি সাংসদ, তাই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন দরকার ছিল। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দলীয় কর্মসূচিতে দু’দিন দিল্লির বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে শুক্রবার তিনি পলিটব্যুরোর তরফে ঋতব্রতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের কথা চিঠি দিয়ে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দেন। তার পরেই আলিমুদ্দিনের তরফে বিবৃতি জারি করে সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে এই প্রথম সিপিএমের বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হল যে, টিভি চ্যানেলে দলের নেতাদের ‘হেয়’ করায় কাউকে বহিষ্কার করা হল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগে তরুণ সাংসদকে সিপিএমের রাজ্য কমিটি প্রথমে ভর্ত্সনা এবং তার পরে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল। বিভিন্ন ‘গুরুতর’ অভিযোগ মেলায় কমিশন গঠন করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আত্মপক্ষ সমর্থন এবং দলের তরফে ঋতব্রতকে সংশোধনের সুযোগও দেওয়া হয়েছিল বলে সিপিএমের দাবি। কিন্তু তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ যখন কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনাধীন, সেই সময়েই টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশকে আক্রমণ করে ঋতব্রত দলকেই প্রকাশ্যে হেয় করেছেন বলে সিপিএমের বক্তব্য। এই কারণেই তাঁকে বহিষ্কার করা হল বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর পরে ঋতব্রত কী করবেন, স্বভাবতই তা নিয়ে নানা জল্পনা এখন বাতাসে উড়ছে। ঋতব্রত অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘আমি কোনও দলে যাচ্ছি না। রাজনীতিতে থাকব। বাংলার স্বার্থ আমার অগ্রাধিকার ছিল, তা-ই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy