বইমেলার উদ্বোধনে রোক্সানা পিন্তো লোপেস। সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
অতিথি লেখকের হাত থেকে হাতুড়ি নিয়ে গত বছর গুণে গুণে ৪০ ঘা মেরে বইমেলা উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এ বার অবশ্য নিজে নয়, কোস্টা রিকার অতিথি লেখক রোক্সানা পিন্তো লোপেস হাতুড়ি মারার সময়ে সবটা সযত্নে দেখভাল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪১ তম কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে হাতুড়ির ঘা পড়ল, গুণে গুণে ৪১ বার। তার হিসেব রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
বুধবার সন্ধ্যায় মিলন মেলার মাঠে বইমলার উদ্বোধনী আসরে প্রত্যাশিত ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন প্রধান চরিত্র। তাঁর প্রশংসায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী থেকে মেলার উদ্যোক্তা বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড-এর দুই আহ্বায়ক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও সুধাংশু দে সকলেই সরব।
পাশাপাশি, বইমেলায় যথারীতি পাওয়া গেল লেখক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মেলার প্রথম দিনে প্রকাশিত বইয়ের তালিকাতে মমতাই সবার উপরে। তাঁর বাংলা কবিতা, উর্দু শায়েরির বই ছাড়াও প্রকাশ পেল, নামের সংকলন ‘নামাঞ্জলি’র দ্বিতীয় পর্ব। লেখক মমতার মধ্যে মিশে থাকলেন রাজনীতিক মমতাও। কারণ, এ দিন প্রকাশিত মমতার আরও তিনটি বই হল, ‘মানুষের জয় ২০১৬’, ‘সিঙ্গুর বিজয়ী’ এবং ‘নোট কথা’। তিনি বললেন, ‘‘বইমেলার উৎসব ছাড়া আমাদের সকাল, সন্ধ্যা, রাত মিথ্যে!’’
বইমেলার প্রাক-পর্বে এ বার এমনিতেই গভীর ছাপ রেখেছে নোট-সমস্যা। মাস দুয়েক আগে শুধু যে বইপাড়ার বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে তা-ই নয়, জেলায় জেলায় মেলাগুলির বিক্রিবাটাও সঙ্কটে পড়ে। নোট-আকালের ছোঁয়াচ এড়াতে বইমেলা কর্তৃপক্ষ এ বার মরিয়া। তবে উদ্যোক্তাদের আশ্বাস, এ বার ২২টি এটিএম থাকবে মেলা-চত্বরে। তার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মোবাইল ক্যাশ ভ্যান দিনভর ১০০ টাকার নোটের জোগান দেবে। ত্রিদিববাবু বলেন, বইমেলার মাঠে এসবিআই-এর কাউন্টার থেকে ১০০-র নোটে ২০০০ টাকা নগদ তোলা যাবে। তা ছাড়া এসবিআই-সহ অনেকেই ভার্চুয়াল ওয়ালেটের বন্দোবস্ত করছে।
বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নেরও এ দিন উদ্বোধন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy