Advertisement
১৯ মে ২০২৪
State news

খুন করেছি, জেরায় স্বীকার করলেন মৌমিতার স্বামী

কল্যাণীতে আইনের ছাত্রী খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। টানা ৩৬ ঘণ্টা জেরার পর শুক্রবার রাতে মৌমিতাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী নিখিল সেন।

মৌমিতা বিশ্বাস। ছবি :ফেসবুক।

মৌমিতা বিশ্বাস। ছবি :ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৪২
Share: Save:

কল্যাণীতে আইনের ছাত্রী খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। টানা ৩৬ ঘণ্টা জেরার পর শুক্রবার রাতে মৌমিতাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী নিখিল সেন। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মৌমিতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তা একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে বলেছেন নিখিল। সেটির খোঁজ চলছে।

জেরায় পুলিশের কাছে নিখিল জানান, মৌমিতা আলাদা থাকলেও তাঁর সঙ্গে হোয়াটস‌্অ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। মৌমিতার জীবনযাপনের বিপুল খরচের অনেকটা তাঁকেই জোগাতে হত। বৃহস্পতিবার মৌমিতার কলেজের পর তাঁকে দেখা করতে ডেকে পাঠান। নিখিলের বাইকে পিছনে বসেন মৌমিতা। দু’জনেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাচ্ছিলেন। সে সময়ই কোনও একটা বিষয় নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মৌমিতা এমন কিছু কথা বলেন যাতে প্রচণ্ড রেগে যান নিখিল। তখন তাঁর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই মৌমিতাকে লক্ষ্য করে পরপর দু’টি গুলি ছোঁড়েন। একটি মৌমিতার মাথায় আর একটি তাঁর বুকে গিয়ে লাগে। রাস্তার পাশেই লুটিয়ে পড়েন মৌমিতা। আর বাইক নিয়ে চম্পট দেন নিখিল।

আরও পড়ুন: কল্যাণীতে আইনের ছাত্রীকে গুলি করে খুন, দেহ মিলল রাস্তার ধারে

মৌমিতার স্বামী নিখিল পেশায় ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌমিতার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা যায়, খুন হওয়ার কিছু ক্ষণ আগে তাঁর নিখিলের সঙ্গে কথা হয়। হোয়াটস‌্অ্যাপেও তাঁদের বেশ কিছু কথোপকথন খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ওই রাতেই থানায় তুলে নিয়ে আসা হয় মৌমিতার স্বামী নিখিলকে। জেরার শুরুতে মৌমিতার সঙ্গে যোগাযাগ রাখার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করছিলেন নিখিল। টানা জেরার পর অবশেষে মৌমিতাকে খুনের কথা তিনি স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: ওয়েট করুন, অনেক কিছুই জানতে পারবেন: সাংবাদিকদের বললেন মৌমিতার স্বামী

পুলিশ জানিয়েছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মৌমিতাকে খুন করা হয়েছে বলে নিখিল জানিয়েছেন তার কোনও লাইসেন্স দেখাতে পারেননি তিনি। উপরন্তু পুলিশকে জানিয়েছেন, এটি তাঁর এক বন্ধুর। যে কি না বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। সেই বন্ধুই তাঁকে এই আগ্নেয়াস্ত্রটি রাখতে দিয়েছিল। লাইসেন্স ছাড়া দীর্ঘদিন নিখিল কেন ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখতেন? ব্যবসার আড়ালে অন্য কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কি না তা সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kalyani law student Moumita Biswas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE