Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

অন্য গল্প দেখছেন নেপথ্য-নন্দিনী

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে মঙ্গলবার সকালেও। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও তাঁর এক ঝলকের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়েছে নেট-রাজ্যে। এটুকু বাদ দিলে দিনের বেশির ভাগ সময়ে কার্যত অধরা থাকলেন নন্দিনী পাল। বারবার মোবাইলে ফোন করা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। তাপস পাল ও নন্দিনীর মেয়ে সোহিনীরও নাগাল মেলেনি।

স্বামীর সঙ্গে ভোট-প্রচারে নন্দিনী পাল। —ফাইল চিত্র

স্বামীর সঙ্গে ভোট-প্রচারে নন্দিনী পাল। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩১
Share: Save:

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে মঙ্গলবার সকালেও। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও তাঁর এক ঝলকের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়েছে নেট-রাজ্যে। এটুকু বাদ দিলে দিনের বেশির ভাগ সময়ে কার্যত অধরা থাকলেন নন্দিনী পাল। বারবার মোবাইলে ফোন করা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। তাপস পাল ও নন্দিনীর মেয়ে সোহিনীরও নাগাল মেলেনি।

নদিয়ার চৌমুহায় তাপস পালের বহুচর্চিত মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর নিজের মানসিক দুরত্বটুকু অবশ্য স্পষ্ট ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন নন্দিনী। কোনও রাখঢাক না-করে সরাসরিই স্বামীর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তবে ওই মন্তব্যের বেশ কয়েক দিন পরে তা সদ্য প্রকাশ্যে এল কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এর পিছনে অন্য গল্প রয়েছে বলেও দাবি করছেন নন্দিনী। সেই ‘অন্য গল্প’ কী, তা অবশ্য খোলসা করে জানাননি।

নন্দিনীর প্রতিক্রিয়ার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিজের ফ্ল্যাটের গেটের ভিতর থেকে তিনি বলছেন, “ওঁর (তাপস) মন্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। এই ধরনের মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। তবে এর মধ্যে অন্য গল্প রয়েছে। যা তাঁকে এই মন্তব্য করতে ইন্ধন জুগিয়েছে।” সোমবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমে বিরোধী দলের (সিপিএম) সমর্থক এবং তাঁদের পরিজনের বিরুদ্ধে তাপসের ধর্ষণের হুমকির ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পরেই ফেসবুকে নন্দিনী লেখেন, ‘আমি নীরবে কাঁদছি। নিজের ভিতরে কাঁদছি। কোনও আশা নেই জেনেই কাঁদছি।’ নন্দিনীর এ দিন সকালের পোস্টটিও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি লেখেন, “জীবনপথে যে ওঠাপড়া আসবে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা আমার আছে। আমার বোধবুদ্ধি আমাকে তা শিখিয়েছে। ঝড়ে আমি ভয় পাই না, কারণ আমি ঝড়ের মুখে সাঁতার কাটা রপ্ত করছি।”

দুপুরের দিকে তাপস-পত্নীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মহিলা কণ্ঠ জানান, “নন্দিনীদেবী এখন নেই। ফোনটা ফেলে গিয়েছেন। বিকেলে উনি কথা বলবেন।” ব্যস, এই শেষ! তার পরে রাত পর্যন্ত নন্দিনীকে ফোনে ধরা যায়নি।

গল্ফ গার্ডেনে ‘স্যাফায়ার কোর্ট’ আবাসনে পাল পরিবারের বাস। ১জে এবং ২জি নম্বরের দু’টি ফ্ল্যাট তাঁদের। একটি ফ্ল্যাটে তাপস-নন্দিনীর এবং পাশের ফ্ল্যাটে সোহিনীর নাম লেখা। ওই তল্লাটে এ দিন সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের ভিড় লেগে ছিল। কিন্তু নন্দিনী দুপুরের পরে কারও মুখোমুখি হতে চাননি। আবাসনের দোতলায় দু’টি ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকলেও সামনের কোলাপসিবল গেট খোলা ছিল। দরজার বাইরে একাধিক জুতোও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকেরা বারবার বেল বাজিয়ে গেলেও কারও সাড়া মেলেনি।

তাপস-নন্দিনীর মেয়ে সোহিনীও অভিনেত্রী। আপাতত তিনি মুম্বইয়ে একটি ছবির শু্যটিংয়ে ব্যস্ত বলে খবর। তাঁর ফোনও লাগাতার ‘নট-রিচেবল’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tapas pal hate speech tmc nandini pal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE