Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতায় তৈরি হবে নয়া বিদেশ ভবন

বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার জানিয়েছেন, কলকাতায় আরও একটি পিএসকে করার ভাবনা রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের।

প্রস্তাবিত বিদেশ ভবনের নকশা।

প্রস্তাবিত বিদেশ ভবনের নকশা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:৪৫
Share: Save:

দেশের মধ্যে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত পাসপোর্ট দফতরটি কলকাতায়। সেই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (পিএসকে) থেকে প্রতি দিন এখন ২ হাজার ২০০টি আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার জানিয়েছেন, কলকাতায় আরও একটি পিএসকে করার ভাবনা রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের।

রাজারহাটে ইকো পার্কের কাছে বিদেশ মন্ত্রকের যে জমি রয়েছে সেখানে আগামী দিনে বিদেশ ভবন তৈরি করা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে সমস্ত দফতরগুলিকে সেখানে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা হবে। সেখানেই আরও একটি পিএসকে তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। ওই জায়গায় ইতিমধ্যেই পাঁচিল তোলা হয়ে গিয়েছে। দফতর ছাড়াও সেখানে অফিসারদের থাকার জায়গাও বানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন বিভূতি কুমার বলেন, ‘‘বিদেশ ভবনের প্রাথমিক একটা নকশা করে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই দিল্লি থেকে একটি দল এসে সরেজমিনে জমি দেখবে।’’

আরও পড়ুন:

নিয়মে বাঁধতে কোড বেসরকারি স্কুলেও

ভূত তাড়াতে হঠাৎ হানা প্যাথ-ল্যাবে

এখন ব্রাবোর্ণ রোডে যে পাসপোর্ট অফিস রয়েছে, সেটি ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রকের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারিয়েটের দফতর রয়েছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে, আইসিসিআর রয়েছে হো চি মিন সরণিতে এবং প্রটেক্টর অব ইমিগ্র্যান্টস-এর অফিস রয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। এই চারটি দফতরকেই নিয়ে যাওয়া হবে রাজারহাটে।

ব্রাবোর্ণ রোডে পাসপোর্টের অফিসটি বহু পুরনো। আগে সেখানে গিয়েই পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে হতো। সেই অফিসের নীচে দীর্ঘ সর্পিল লাইন পড়ত। বছর পাঁচেক আগে রুবির কাছে পিএসকে তৈরি করা হয় এবং সেখানেই এখন পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়া হয়। শুধু পাসপোর্টের যে আবেদনগুলি বিতর্কিত, সেগুলি এই ব্রাবোর্ণ রোডের অফিস থেকে মীমাংসা করা হয়। আগে প্রতি দিন এমন ১৮০টি আবেদন গ্রহন করা হত। এখন দৈনিক ২৫০টি আবেদন দেখা হয়। বিভূতি কুমার জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি থেকে ওই বিতর্কিত আবেদনগুলির সমস্যা মেটাতে এক টানা সাতটি কাজের দিন আদালত বসবে ব্রাবোর্ণ রোডের অফিসে।

দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতা শহরের বুকে দ্বিতীয় একটি অফিসের খোঁজে ছিল বিদেশ দফতর। কিন্তু, চাহিদা মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। শহরের বুকে কোথাও জায়গা পেলেও সেখানে গাড়ি রাখা নিয়ে সমস্যা ছিল। রাজারহাটে বিদেশ ভবন চালু হতে এখনও কমপক্ষে চার বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE