দু’জন: গত বছর পাড়ার পুজোয় মুকুল ও সৌরভ। ফাইল চিত্র
দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এক যুবনেতা ফেসবুকে মুখ খোলায় মেদিনীপুরে শাসকদলের কোন্দল বেআব্রু হয়েছে। এ বার সেই কোন্দলে ঢুকে পড়ল তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গও।
কাউন্সিলর অনিলচন্দ্র দলবেরার অনুগামীদের দাবি, মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিদ্রোহী যুবনেতা সৌরভ বসুর। আর সেই সূত্রেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কাউন্সিলরকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করেছেন সৌরভ। কাউন্সিলর অনিলচন্দ্রবাবুরও বক্তব্য, “দলে থেকে কেউ এ ভাবে দলের ক্ষতি করে না। আমার মনে হয় এখনও মুকুল রায়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রয়েছে ওর। কারও প্ররোচনাতে জেনেবুঝেই এ ভাবে দলের নামে কুত্সা রটানো হচ্ছে।” মুকুল-যোগের ব্যাখ্যা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন সৌরভ। তাঁর কথায়, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তৃণমূলটা করি। কেউ গুরুতর অভিযোগ থেকে বাঁচতে মিথ্যে অপবাদ দিতে পারে। তাতে কিছু এসে যায় না।”
আরও পড়ুন: বিনয়ের ঝুলিতে দার্জিলিং
অনিল-অনুগামীরা অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে সৌরভের যোগাযোগ আজকের নয়। যখনই মেদিনীপুরে এসেছেন মুকুল, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন সৌরভ। সৌরভের বাড়ির এলাকার কালী পুজো, যার অন্যতম কর্মকর্তা সৌরভ নিজে, গতবার সেই পুজোর উদ্বোধনেও এসেছিলেন মুকুল। এক অনিল-অনুগামীর কথায়, “মুকুল রায়ের মতো নেতারা তো ডাকলেই আর পুজোর উদ্বোধনে আসেন না। খুব পরিচিতদের পুজোর উদ্বোধনেই যান।” সৌরভ-অনুগামীদের অবশ্য দাবি, যখন দলে ছিলেন, তখন মুকুল রায়ের সঙ্গে অনেক জেলা নেতার মতো সৌরভেরও সম্পর্ক ছিল। মুকুল দল ছাড়ার পরে আর কোনও সম্পর্ক নেই। এক সৌরভ-অনুগামীর কথায়, “পুজোর উদ্বোধনে শুধু মুকুল রায় নন, অজিত মাইতি, দীনেন রায়, উত্তরা সিংহদের মতো জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরাও এসেছিলেন। ফলে, পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে লাভ নেই।”
বিতর্কের সূত্রপাত গত ৪ অক্টোবর। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিলচন্দ্র দলবেরাকে তোলাবাজ বলে গালমন্দ করে ওই দিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সৌরভ। মেদিনীপুরের এই যুব নেতাও এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পোস্টে এও লেখা হয়, ‘আর নেই দরকার, তোলাবাজ কমিশনার।’ বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে মেদিনীপুরে। চরম অস্বস্তিতে পড়েন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি ওই নেতাকে সতর্ক করা হয়। তারপরেও কোন্দল থামেনি। সৌরভের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন অনিলচন্দ্রবাবু। সৌরভও জানিয়ে দেন, দরকারে আইনি পথে লড়বেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy