রাম-যোগ। ইনফোকমের মঞ্চে যোগগুরু রামদেব। —নিজস্ব চিত্র
মঞ্চ জুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন তিনি। হাতে হাঁটছেন এবং দিব্যি হাঁটছেন।
তাঁর নিঃশ্বাস বন্ধ। ঢেউ খেলছে পেটের পেশিতে। তিনি বলছেন, ‘‘আমি সন্ন্যাসী। জীবনের মূল মন্ত্র যোগ ও কর্মযোগ।’’
প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে তখন তুমুল করতালি— ‘সন্ন্যাসী’ রামদেবের জন্য!
মাঝখানে কয়েকটা মুহূর্ত। ‘সন্ন্যাসী’ যোগগুরু এ বার দিচ্ছেন তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়। বলছেন, তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির ‘আনপেড ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর’ তিনি নিজেই। ঘোষণা করছেন, ২০২০ সালের মধ্যেই সেই সংস্থার ব্যবসা পৌঁছে যাবে এক লক্ষ কোটি টাকায়। এ বারও বিপুল হাততালি। সন্ন্যাসীর জন্য, নাকি দেশজ বহুজাতিক সংস্থার কর্ণধারের জন্য? বর্তমান হিসেবে যাঁর সংস্থার ব্যবসা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার!
‘ইনফোকম’-এর শেষ দিনে এ ভাবেই ঘণ্টা দেড়েক মাতিয়ে রাখলেন যোগগুরু রামদেব। কখনও ‘সন্ন্যাসী’, কখনও ‘রাজা’র ভূমিকায়!
তবে যে রূপেই তিনি থাকুন, কারও পিছনে থাকতে রাজি নন। নিজের ছোটবেলার গল্প বলতে গিয়ে বলেই ফেললেন, ক্লাসে প্রথম স্থানটি বাঁধা ছিল তাঁর। কারণ, দ্বিতীয় হতে ভাল লাগত না। স্কুলে যেতেন খাকি ইউনিফর্ম পরে। আজ পোশাক বদলেছে। বদলায়নি মনোভাব। শনিবার সন্ধ্যায় ‘ইনফোকম’-এর মঞ্চে গেরুয়া ধুতি-চাদর পরা ‘বাবা রামদেব’ স্কুলের মতো ব্যবসাতেও শীর্ষে থাকার কথা বললেন। বললেন, ‘‘প্রতিকূল পরিবেশেও এগিয়ে থাকার সাহস চাই।’’ যোগ-ব্যায়াম, শিক্ষা, স্বনির্ভর প্রকল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের বিশাল কর্মকাণ্ড তিনি কী ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই কাহিনি শোনালেন। আর বললেন, ‘‘দু’চার শতাংশ বৃদ্ধির কথা টাইওয়ালাদের জন্য। এটা আমার পছন্দ নয়। আমরা ধুতিওয়ালা। আমাদের লক্ষ্য, বর্তমান ব্যবসাকে দ্বিগুণ করে ফেলা।’’
কথায় কথায় যোগগুরু জানালেন, নোট বাতিলের পর মন্দার বাজারেও ব্যবসা বাড়িয়েছে তাঁর সংস্থা। চলতি মাসে আরও বড় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে এগোচ্ছেন। নতুন বছরে ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা তৈরি রেখেছে পতঞ্জলি। এবং আগামী বছরেই পশ্চিম এশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং আফ্রিকার বাজারে পা রাখবে তাঁর সংস্থা। রামদেবের কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই বিদেশের বাজারের জন্য নাগপুরে উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। আমরা বিশেষ আর্থিক অঞ্চল থেকে ৫০০০ কোটি টাকার রফতানি করব।’’
তবে রামদেবের বিশ্বাস, ব্যবসা বাড়ানো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy