সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক। তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনের মুকুটহীন রাজা। তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি। সারদার হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিলেন অতুল বৈভবের রাজ্যেও। অভিযোগ অন্তত তেমনই।
সেই অভিযোগের কালি-ই এ বার শঙ্কুদেব পণ্ডাকে পৌঁছে দিল সিবিআই-এর কাঠগড়ায়। বুধবার সাতসকালে সিবিআই দফতরে হাজির হতে হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা শাসক দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই তারিখ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে শঙ্কুর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পক্ষে।
আরও পড়ুন:
সিবিআই দফতরে শঙ্কু
রাজ্যে তৃণমূলের উত্থান যে নন্দীগ্রাম থেকে, সেখান থেকেই উত্থান শঙ্কুরও। তখনও তিনি সাংবাদিক। বৈদ্যুতিন মাধ্যমের। নন্দীগ্রামের তৎকালীন সিপিআই বিধায়ক মহম্মদ ইলিয়াসের একটি ‘দুর্নীতি’ স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে সামনে এনে হিরো হয়ে যান শঙ্কু। সেই থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসা শুরু। ২০০৯ সালে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি পদে শঙ্কুর অভিষেক। কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলের আরও অনেক নেতার মতো সারদা গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। ওই সংস্থার একটি নিউজ চ্যানেলে তিনি সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। তবে অভিযোগ, কোনও দিনই চ্যানেলের হয়ে তিনি কাজ করতেন না। মাসে মোটা টাকা উপায়ের সংস্থান সুনিশ্চিত করতেই নাকি সারদা গোষ্ঠীর নিউজ চ্যানেলে তাঁর নিয়োগ। মোটা বেতন ছাড়াও সারদা গোষ্ঠী থেকে অনেক টাকা নিয়েছেন শঙ্কু, অভিযোগ পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময়ে শঙ্কুর অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা ট্রান্সফার করেছে সুদীপ্ত সেনের সংস্থা। অন্য অনেক নেতার সঙ্গে সারদা গোষ্ঠী ‘বেআইনি’ টাকা-পয়সার লেনদেনেও নাকি মধ্যস্থতা করতেন শঙ্কু।
সিবিআই-এর দাবি, এই সব অভিযোগের সপক্ষে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। তার পরেই তলব করা হয়েছে শঙ্কুকে। জেরায় শঙ্কু কতটা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন, তার উপরে নির্ভর করছে অনেক কিছুই। বলেছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy