তাগাদা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি নিয়ে মামলার কাগজপত্র পাঠাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ একটি বিভাগ। তাই চার মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন হলেও তারা হাত-পা গুটিয়েই বসে রয়েছে। কবে তারা তদন্ত শুরু করতে পারবে, তার ঠিক নেই।
২০০৪ সালের ২৪ মার্চ শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবন থেকে নোবেল পদক-সহ ৪৭টি স্মারক চুরি হয়ে যায়। তৎকালীন বাম সরকার এর তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু গত বারো বছরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চুরি যাওয়া নোবেল পদক খুঁজে দেওয়া তো দূর অস্ত্, এ সম্পর্কে কোনও প্রামাণ্য তথ্যও জানাতে পারেনি। এবং এই কারণেই গত অগস্ট মাসে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সিবিআই না পারলে রাজ্যই নোবেল নিয়ে তদন্ত করতে পারে। তাঁর এই ঘোষণার পরেই তৈরি হয় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট।
কিন্তু সিট গঠন হলেও তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করতে পারল না কেন?
নবান্নের একাংশের বক্তব্য, নোবেল চুরির ছ’দিনের মাথায় রাজ্য সরকারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিল। এখন আদালতের সাহায্যে তারা সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিতে পারে। সিট-ও সে রকম পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে। কিন্তু একতরফা ভাবে আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীন পার্সোনেল মন্ত্রকের কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ (ডিওপিটি) বিভাগের মতামত জানতে চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। নবান্নের দাবি, দিল্লি মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। নবান্নের দাবি নিয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মুখ খুলতে চাননি ডিওপিটি-র কর্তারা।
নবান্নকে ধোঁয়াশায় রেখেছে সিবিআই-ও। নবান্নের বক্তব্য, সিবিআই নোবেল তদন্ত পুরোপুরি ছেড়ে দেয়নি। তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তদন্ত শুরু করতে পারছে না সিট। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আগের তদন্তের অগ্রগতি কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে চার মাসে আগে। তারা কিছু জানায়নি। তাই তদন্ত শুরু করতে পারছি না।’’
তবে কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে সিট-এর সদস্যরা একবার শান্তিনিকেতনে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। কিছু সূত্রও তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি। দলে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন এডি়জি (সিআইডি) রাজেশ কুমার এবং সিআইডি-র আইজি (২) জাভেদ শামিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy