আপাতদৃষ্টিতে নববর্ষ উপলক্ষে চা-চক্রের আসর। কিন্তু সেই অবসরেই দানা বাঁধল রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উদ্যোগ। তৃণমূলের ‘অপশাসন ও অত্যাচারে’র মোকাবিলায় নতুন মঞ্চ গড়ে তুলতে চেয়ে একজোট হতে শুরু করলেন কংগ্রেস, বিজেপি এবং শাসক দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের একাংশ।
রাজ্যসভায় সাসপেন্ডেড তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের বাড়িতে রবিবার সন্ধ্যায় বসেছিল ওই চা-চক্র। যেখানে হাজির ছিলেন দুই কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র ও অরুণাভ ঘোষ এবং বিজেপির তরফে লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসু। ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের। সারদা-কাণ্ডের সময়ে সরাসরি কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে জাতীয়তাবাদী মঞ্চ গড়ে তুলেছিলেন অমিতাভ মজুমদারের মতো কেউ কেউ। সেই মঞ্চের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশ্যে তাঁরা সকলেই দাবি করেছেন, কুণালের আমন্ত্রণে তাঁরা সৌজন্যের খাতিরে চায়ের আসরে এসেছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, ঘরোয়া আলাপচারিতার মধ্যেই নতুন রণনীতির সলতে পাকানো হয়েছে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সোমেনবাবুকে নিয়ে ইদানীং জল্পনা তুঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ফোন করার পর থেকেই তাঁর নতুন রাজনৈতিক ইনিংস নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়িতেও নানা অতিথির আনাগোনায় সোমেনবাবু ফের তৎপরতার তুঙ্গে। এর পরে কুণালের সঙ্গে তাঁর বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মুখোমুখি হওয়া নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। তবে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ বলছে, তৃণমূল ঘুরে কংগ্রেসে ফিরে কয়েকটি ভোটে হারার পরে সোমেনবাবুর পক্ষে এখন নতুন কিছু করা কঠিন। সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণালের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই এমন উদ্যোগের পরিণতি নিয়ে সংশয় থাকছেই।
আলোচনার পরে বিজেপির সায়ন্তনবাবু বলেছেন, ‘‘আমন্ত্রণ পেয়ে চায়ের আসরে এসেছিলাম।’’ তবে ঠিক হয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ক্ষোভ কাজে লাগাতে মঞ্চ গড়ে এগোতে হবে। বিরোধী নেতারা অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন, কংগ্রেস ঘোষিত ভাবে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। মঞ্চ গড়ার নামে সেই দলের নেতাদের পক্ষে কী ভাবে বিজেপির সঙ্গে একাসনে বসা সম্ভব? তা হলে কি তাঁরা সকলেই গেরুয়াধারী হবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy