ভক্তিভরে: বৃষ্টিতে ডুবেছে শহর। সেই হাঁটু-জলে দাঁড়িয়েই কালীপ্রণাম। শুক্রবার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে। ছবি: সুমন বল্লভ।
ক্যালেন্ডারে কার্তিক। কিন্তু বাতাসে পুরোদস্তুর শ্রাবণের ছোঁয়া!
সৌজন্যে বঙ্গোপসাগর থেকে হাজির হওয়া গভীর নিম্নচাপ।
গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ওডিশায় ঢুকেছিল। আবহবিদেরা জানান, ওডিশা হয়ে এ রাজ্যের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাবে সেটি। প্রাথমিক ভাবে তার অভিমুখ ছিল অন্ধ্র ও ওডিশার দিকে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় তার গন্তব্য বদলে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ ওডিশা থেকে এ রাজ্যের দিকে সরে আসছে। এ রাজ্যে ঢুকে আসানসোল, মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে বয়ে যাবে।
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, এই গভীর নিম্নচাপের জেরে উত্তর ও দক্ষিণ, দুই বাংলাতেই জোরালো বৃষ্টি হবে। এ দিন গাঙ্গেয় বঙ্গের কিছু এলাকায় অতিভারী বৃষ্টিও হয়েছে। আজ, শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। কাল, রবিবার থেকে আকাশ সাফ হয়ে রোদ উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাদা
এ বছর অতিবৃষ্টির জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হয়েছে। ফের অতিবৃষ্টির আশঙ্কায় সতর্ক রাজ্য। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতা, বীরভূম, দুই বর্ধমান, নদিয়া-সহ প্রায় সব জেলায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেচ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচমন্ত্রী নিজে এ দিন কন্ট্রোল রুমে বসে তদারকি করেন। তিনি বলেন, ‘‘দামোদর অববাহিকার উপরে বিশেষ নজর রেখেছি।’’
নিম্নচাপটি ওডিশা উপকূলের কাছাকাছি আসতেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। গভীর রাত থেকে বৃষ্টি প্রবল হয়। সেচ দফতর জানিয়েছে, কাঁথি, তমলুক, পাঁশকুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় যথাক্রমে ৯১, ৮৫, ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মহানগর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy