সারদা-কাণ্ড থেকে শুরু করে একের পর ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ, নানা ঘটনায় শাসক দল এখন কিছুটা কোণঠাসা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে এ বার রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিল বাম শরিক ফব। ৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরেই যাচ্ছে তারা। ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলা জুড়ে অবস্থান, ধর্নার কর্মসূচি দিয়ে এই রাস্তায় নামা পর্বের সূচনা হচ্ছে। পুজোর পরে ফের আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন ফব নেতৃত্ব।
তৃণমূল শাসনের তিন বছরেই মানুষ ক্ষুব্ধ। অথচ বামেরা আন্দোলনে যাচ্ছে না। এই যুক্তিকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের পর প্রধান বিরোধী দল হিসেবে মাথা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এখন বসে থাকলে তাঁদের সঙ্কটপূর্ণ অস্তিত্ব আরও বিপন্ন হবে বুঝেই সক্রিয় হয়েছে ফব। শিলিগুড়িতে রবিবার ৭টি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যের নিয়ে বৈঠক করে আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করেন ফব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস। তাঁর যুক্তি, যা পরিস্থিতি, তার পরেও বামেরা পথে না নামলে নিজেদের ছাড়া কাউকে দোষ দেওয়ার থাকবে না! উত্তরবঙ্গে আন্দোলন বজায় রাখতে ১৫ সদস্যের সমন্বয় কমিটি হয়েছে। আহ্বায়ক কোচবিহারের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ। আছেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সৈরানিও।
সারদা ছাড়াও নানা অর্থলগ্নি সংস্থা উত্তরবঙ্গে কারবার চালিয়েছে, তাদের সকলকে তদন্তের আওতায় আনার দাবিতে ১৯ তারিখ বিক্ষোভ-অবস্থান হবে। ইসলামপুরে ২১ সেপ্টেম্বর ফব-র আয়োজনেই হবে কনভেনশন। যার দাবি, উত্তরের এইম্স হোক উত্তরেই। উদয়নবাবুর কথায়, “উত্তরবঙ্গে এইম্সের দাবিতে সব দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও দলের সঙ্গেই আন্দোলনে যেতে আপত্তি নেই।” ছিটমহল বিনিময় ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান, নদী ভাঙন রোধে রাজ্য ও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, চা-শ্রমিকদের দুরবস্থা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বেহাল দশা-সহ ৭ দফা দাবি নিয়ে এখন লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নেতৃত্ব বদলের দাবির প্রেক্ষিতে নভেম্বরে ফব-র যে রাজ্য কাউন্সিলের অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত হয়ে গিয়েছে সাংগঠনিক কিছু অনিয়মের কারণে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy