Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

শতবর্ষে নানা উদ্যোগ বসু বিজ্ঞান মন্দিরে

একশো বছরে পা দিল বসু বিজ্ঞান মন্দির। সেই উপলক্ষে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর বারোটি ডায়েরির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করলেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির বাঁধাই সংস্করণও।

বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের ছেলে, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ডারউইন কেমব্রিজে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ক্লাসে জগদীশচন্দ্রের নেওয়া নোট (বাঁ দিকের পৃষ্ঠায়)। — নিজস্ব চিত্র

বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের ছেলে, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ডারউইন কেমব্রিজে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ক্লাসে জগদীশচন্দ্রের নেওয়া নোট (বাঁ দিকের পৃষ্ঠায়)। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১৩
Share: Save:

একশো বছরে পা দিল বসু বিজ্ঞান মন্দির। সেই উপলক্ষে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর বারোটি ডায়েরির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করলেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির বাঁধাই সংস্করণও।

সংগ্রহশালার কিউরেটর ঈশানী চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, কেম্ব্রিজে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের ছেলে ফ্রান্সিস ডারউইন ছিলেন জগদীশচন্দ্রের শিক্ষক। তাঁর ক্লাসে জগদীশচন্দ্র যে ডায়েরিতে নোট নিয়েছিলেন, এ বার দেখা যাবে সেগুলি। এ ছাড়া, বিভিন্ন যন্ত্রের ডিজাইন নিজেই করতেন জগদীশচন্দ্র। সব এঁকে রাখতেন ডায়েরিতেই। তাঁর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও জায়গা পেত ডায়েরিতে। এ সব এখন চাইলেই একসঙ্গে দেখা যাবে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায়।

পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জগদীশচন্দ্র পরস্পরকে যে চিঠি লিখতেন, সে সমস্ত এক করে তৈরি হয়েছে ‘পত্রাবলী’। আজ, বুধবার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দু’খন্ডের এই বই প্রকাশ করা হবে। এ দিন বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সব প্রকাশনাই অর্ধেক মূল্যে মিলবে বলে জানালেন ঈশানী।

১৯১৭-র ৩০ নভেম্বর নিজের জন্মদিনেই জগদীশচন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বসু বিজ্ঞান মন্দির। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অধ্যাপক ও প্রাক্তন অধিকর্তা শিবাজী রাহা জানান, পঠনপাঠন ও গবেষণার জন্য অভিন্ন ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। পাঁচ একর জমিতে তৈরি এই ক্যাম্পাস আগামী এক বছরে চালু হবে। এর পরে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডের বসু বিজ্ঞান মন্দিরের পুরোটা নিয়েই হবে সংগ্রহশালা।

শিবাজীবাবু বলেন, ‘‘জগদীশচন্দ্র বহু বছর আগেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে নিবিড় সংযোগের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। দুনিয়া জুড়ে তাঁর গুরুত্ব এখন বোঝা যাচ্ছে।’’ তিনি জানান, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সংযোগসাধনকারী নতুন দু’টি পাঠ্যক্রম চালু করতে চলেছেন তাঁরা। এ ছাড়া, প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রামাঞ্চলে রোজগারের পথ খুলে দিতে যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় বসু বিজ্ঞান মন্দিরের তরফে, সেই উদ্যোগকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সব ক’টি রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তাদের দার্জিলিং ক্যম্পাসে প্রায় দশ বছর ধরে বিজ্ঞান ক্যাম্প করে বসু বিজ্ঞান মন্দির। এ বার গোটা পূর্ব ভারতের স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে এ ধরনের ক্যাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এর সঙ্গে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Various initiatives Bose Institute Centenary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE